শিক্ষাবঞ্চিত আফগান এতিম শিশুদের পাশে নেই বিশ্ব সম্প্রদায়
আহমাদ খলিল মায়ান, যিনি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের সবচেয়ে বড় এতিমখানাটি পরিচালনা করে আসছেন। যেখানে তিনি প্রায় ১৩০ জন এতিম শিশুর রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। কিন্তু দেশী এবং বিদেশী সাহায্যের অভাবে বর্তমানে এতিমখানাটির শিশুদের প্রতি সপ্তাহের ফল ও মাংসের যোগান দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। এমনকি এতিমখানাটি বন্ধেরও উপক্রম হয়েছে।
জানা যায়, গত দুই মাস থেকে অর্থাৎ তা-লে-বা-ন গোষ্ঠী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকেই এতিমখানায় সাহায্য দেয়া বন্ধ করে দেন দাতারা। মায়ান জানান, দেশি-বিদেশি দাতাদের অনেকেই কাবুল ত্যাগ করে চলে গেছেন এবং তারা সাহায্যের জন্য করা ম্যাসেজের জবাবও দিচ্ছেন না। আর সাহায্য না পাওয়ায় শিশুদের ভরণপোষণ করা তার জন্য এখন রীতিমত চ্যালেন্জে পরিণত হয়েছে।
মায়ান আরও জানান, স্বল্প সাহায্য, অল্প খাবার দিয়েই এ প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে কয়েকজন এতিম শিশুকে তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা যায়, ১৯৯৬-২০০১ সালে ক্ষমতা থাকাকালীন নারীদের শিক্ষা বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি টেনে এনে বর্তমান তা-লে-বা-ন সরকারকে স্বীকৃতি ও সাহায্য-সহযোগিতা করতে অসম্মতি জানাচ্ছে দাতা সংস্থাগুলো এবং পশ্চিমা সম্প্রদায়।
যদিও বর্তমান আফগান সরকারের দাবি, হিজাব পরিধান করে চাকরি কিংবা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে নারীদের কোনো বাধা নেই।
সূত্র: আল-জাজিরা