শিক্ষকের পাহারায় স্কুলে যাচ্ছে ফিলিস্তিনি শিশুরা
ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নাবিলুসের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণের একটি গ্রাম লুবান আশ-শারকিয়া। গ্রামটির দু’পাশেই অবৈধ বসতি গড়েছে ইসরাইলিরা। আর এর ফলে এ এলাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিনি শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে প্রতিনিয়ত হচ্ছে নির্যাতনের শিকার সেই ভয়ে শিশুরা যেতে যাচ্ছে না স্কুলে।
জাতিসংঘের মানবসম্পদ ও আবাসন বিষয়ক কো-অর্ডিনেটর লিন হ্যাস্টিংস এর তথ্যমতে, এ বছরের শুরু থেকে আগস্ট পর্যন্ত ইসরাইল অধিকৃত এলাকাগুলোতে অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোর দখলদার ইহুদীদের হামলায় আহত হয়েছেন।
হ্যাস্টিংস বলেছেন, ‘ইসরাইলের অবশ্যই কর্তব্য শিশুদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় নিরাপত্তা বিধান করা। সকল পক্ষকেই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শিশুদের নিরাপত্তা দিতে অবশ্যই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।’
কিন্তু কে শুনে কার কথা? ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে একের পর এক ইহুদি বসতি নির্মাণ করে তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার সাথে সাথে এবার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ফিলিস্তিনি শিশুদের মৌলিক অধিকার, শিক্ষা গ্রহণের পথেও বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে ইহুদি বসতী স্থাপনকারী ও ইসরাইলি সেনারা।
পশ্চিম তীরের নাবিলুস শহরের মাউদ ওয়াইস বলেন, ‘ইসরাইলি সেনারা আমার সন্তানকে ভয় দেখাতে পারে কিংবা ধরে নিয়ে যেতে পারে এ আশংকায় প্রতিদিনই তাকে স্কুলে দিয়ে আসি এবং নিয়ে আসি।’
মাউদ ওয়াইসের ছেলে ১১ বছর বয়সী মাহমুদ বলেন, ‘ইসরাইলি সেনারা আমাদের একসাথে দেখে ধমক দিয়েছে এবং আমরা খুব ভয় পেয়েছি।’
এর আগে আল-জাজিরার সংবাদকর্মীরা ঐ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্র মসজিদ ভষ্মীভূত অবস্থায় দেখতে পান।
এছাড়া গত মাসের শেষের দিকে এক ফিলিস্তিনি শিশুকে ভীত সন্ত্রস্ত এবং কান্নারত অবস্থায় স্কুল থেকে ফিরে আসতে দেখেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী।
শুধু শিশুদের প্রতি বিরুপ আচরণ নয়, বরং ফিলিস্তিনিদের গবাদিপশু হত্যা, গাছপালা কর্তনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে। সূত্র: আল-জাজিরা