কাশ্মীরে বাড়লো লকডাউন, ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ
কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যুর পর সেখানে লকডাউন ফের বাড়ানো হয়েছে। গিলানীর মৃত্যুতে অঞ্চলটিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে এমন দাবিতে সাধারণ মানুষের চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারতীয় প্রশাসন।
সৈয়দ আলি শাহ গিলানি দিল্লির শাসনের বিরুদ্ধে একজন অপ্রতিরোধ্য নেতা ছিলেন বলে মনে করেন অনেকে। গত বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্রীনগরে ৯২ বছর বয়সে মারা যান তিনি। খবর আল-জাজিরার।
আজ শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরে বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়ে রণপ্রস্তুতি নিয়ে টহল দিয়েছে ভারতীয় দাঙ্গা পুলিশ এবং আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। জুমার নামাজের পর সেখানে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ হতে পারে এমন আশঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা শহরের কিছু রাস্তা অবরোধ করে রাখতে দেখা যায়।
গিলানির পুত্র নাসিম গিলানির অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন রোগে অসুস্থ থাকার পরেও আমার পিতাকে কয়েক বছর গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল এবং মৃত্যুর পরে পুলিশ তার মরদেহ ছিনিয়ে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি ছাড়াই দাফন করে। তবে গিলানিকে জোরপূর্বক দাফন করার অভিযোগ অস্বীকার করে এটিকে গুজব ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছে ভারতীয় পুলিশ।
জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গিলানির মৃত্যুর দিন থেকেই কাশ্মীরে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর হাজার হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয় এবং বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। ঐদিন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে।
এর আগে, প্রায় ৫০ বছর ধরে জেলে এবং গৃহবন্দি থাকা কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির জন্য মসজিদে বিশেষ দোয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার শোক পালন করেছে পাকিস্তান এবং তাকে প্রকাশ্যে দাফন না করার নিন্দায় দেশটি।