বায়োটেকনোলজিতে এমএসসি করে ডোম পদে চাকরি, জানাতে পারছেন না বাড়িতে

চাকরি প্রার্থীদের দীর্ঘ সাড়ি
চাকরি প্রার্থীদের দীর্ঘ সাড়ি  © ফাইল ফটো

বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে করেছেন এমএমসি। স্বপ্ন ছিল কোন একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করবেন। তবে তেমন কোন চাকরি না জোটায় হাসপাতালে ডোমের চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণও হয়েছেন। ভাইভায় টিকলেও মিলে যাবে চাকরি। তবে ডোমের চাকরি হওয়ায় পরিবারকে জানাতে পারেননি ওই যুবক।

ওই যুবকের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে। তিনি ওড়িশার উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে এমএসসি পাস করেছেন। বর্তমানে নীলরতন সরকার (এনআরএস) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবরেটরি অ্যাটেন্ড্যান্ট (ডোম)-এর পদে চাকরির জন্য ভাইভায় অংশ নেবেন তিনি।

ওই যুবক জানান, এই কাজের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা চেয়েছিল অষ্টম শ্রেণি পাশ। সুযোগ পেলে চাকরিটা নিয়ে নেব। চাকরিটা পেলে কী কাজ করতে হবে, জানি। তবে কোনও কাজই ছোট নয়। ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থায় চাকরির সুযোগ এই রাজ্যে বিশেষ নেই। ভুবনেশ্বর আইআইটি-র ল্যাবরেটরিতে কিছু দিন অস্থায়ী ভাবে কাজ করেছিলাম। কিন্তু করোনার জন্য তো এখন সেই কাজও হচ্ছে না।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই যুবক জানান, বাড়িতে না-জানিয়েই ডোমের পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন তিনি। বায়োটেকনোলজিতে এমএসসি করে হাসপাতালে ডোমের চাকরির জন্য আবেদন করেছি, এটা জানাতে কুণ্ঠা তো হচ্ছেই। তাই নামটা বলতে চাইছি না।

শুধু ওই যুবকই নন, ডোমের চাকরির জন্য এদিন ইন্টারভিউ দিতে ঘাটাল থেকে এসেছিলেন রিঙ্কু। তিনি বলেন, আমি এমএ পাশ। এই পদে চাকরি পেলে কী কাজ করতে হবে, সেই বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। কিন্তু চাকরিটা তাঁর খুবই দরকার।

আরেক চাকরি প্রার্থী মনোজ পাল। তিনিও বাংলায় এমএ পাশ। ইন্টারভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মনোজ বলেন, শিক্ষকতার চাকরির পরীক্ষায় দেব। বিএড করা হয়নি। ওটা করতে হবে। তার আগে এই ডোমের পদে লোক নিচ্ছে দেখে আবেদন করেছি। লিখিত পরীক্ষায় উতরে গিয়ে এতটা এসেছি। দেখা যাক, কী হয়।

সূত্র: আনন্দবাজার