২৮ আগস্ট ২০২১, ১২:২৮

ধর্মের কারণে মাস্ক ছাড়া স্কুলে, বহিষ্কৃত দুই ভাই-বোন

  © সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে দুই হাই স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা অভিযোগ করেছেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে মাস্ক না পরে স্কুলে যাওয়ায় তার সন্তানদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

এনবিসি নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওই শিক্ষার্থীদের বাবা গ্যারি নেলসনের বরাত দিয়ে জানানো হয়, স্কুলের প্রথম দিনেই তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং বলা হয় আর না ফিরে আসতে।

ড্রিউ (১৭) এবং ভিক্টোরিয়া (১৬) নেলসনের বাবা আরও জানান, যদি তার সন্তানদের স্কুলে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় তাহলে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করবেন তিনি।

গ্যারি নেলসন আরও বলেন, গত ১৯ আগস্ট ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে তারা মাস্ক পরতে অস্বীকার করায় স্কুল ক্যাম্পাস থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) এক সাক্ষাৎকারে গ্যারি বলেন, বাইবেল অনুযায়ী আমরা ঈশ্বরের প্রতিচ্ছবি এবং শয়তান সেই প্রতিচ্ছবিকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করে। মাস্ক সেই উদ্দেশ্যই পূরণ করছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মুসলিম, ইহুদি কিংবা আর ও সংখ্যালঘু ধর্মের হলে হয়ত মেনে নিতাম যে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করছে। আমরা নিরাপদবোধ করছি আমরা খ্রিষ্টধর্মের বলে।

নেলসন বলেন, তার সন্তানদের বহিষ্কার করা হয়নি, তাদের স্কুলের কাজে প্রবেশাধিকার রয়েছে তবে তাদের বলা হয়েছে বাড়িতে বসে অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। কিন্তু শিক্ষকরা তাদের দরকারে কোনো প্রকার সাড়া দিচ্ছেন না।

তবে তিনি তার সন্তানদের টিকা দেওয়া হয়েছে কিনা তা জানাননি।

কর্তৃপক্ষ গ্যারিকে পাঠানো একটি চিঠিতে জানান, ক্যালিফোর্নিয়ার জনস্বাস্থ্য বিভাগ (সিডিপিএইচ)-এর আদেশ লঙ্ঘন করছে যেখানে বলা আছে শিক্ষার্থীরা পাবলিক স্কুলে মাস্ক পরে আসবে। একইসঙ্গে আরও নয়টি বিষয় তালিকাভুক্ত করেছেন যা স্কুলের নিয়ম ও নীতি অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

এ বিষয়ে হাই স্কুলের অধ্যক্ষ রেবেকা ফাবোজিকে বৃহস্পতিবার ই-মেইল করা হলে তিনি কোনো জবাব দেননি। এমনকি স্কুলেও একাধিক ফোন কল করা হলেও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি।

অভিভাবকদের কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষের পাঠানো একটি ইমেইল থেকে জানা গেছে তারা “সফট লকডাউন” ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ স্কুল বন্ধ থাকলেও পাঠাদান চলছে।

এ বিষয়ে ভিক্টোরিয়া জানায়, নীতির বিপক্ষে দাঁড়ানো সহজ ছিল না। মাস্ক না পরা কোনো অজুহাত নয় বরং আমরা সত্যিই এমনটা বিশ্বাস করি।