বিদেশে আশ্রয় চেয়ে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর টুইট

আইশা আহমাদের টুইটার একাউন্ট
আইশা আহমাদের টুইটার একাউন্ট  © স্ক্রিনশট

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে গত রোববার তালেবান গোটা দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে দেশটির কর্মজীবী এবং অধ্যয়নরত নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে অনিশ্চয়তা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও তালেবানের পক্ষ থেকে পরে বলা হয়েছে, নারীরা হিজাব পরে কর্ম ও শিক্ষাঙ্গনে যেতে পারবে।

রোববার আফগানিস্তানের কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আইশা আহমাদ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে টুইটারে পোস্ট করে পাকিস্তান বাদে বিশ্বের যেকোনো দেশে আশ্রয় চান বলে জানান।

টুইটে আইশা লেখেন, ‘পাকিস্তান বাদে আমি যেকোনো দেশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৪ পাওয়া ২২ বছর বয়সী নারী শিক্ষার্থী আমি। আমার বাবা-মা দুজনই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমাদের পরিবারে আমরা তিনজনই। আমার অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে, আমি বোরকা পরতে পারি না। আমি আমার শিক্ষাজীবন সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে চাই।’

টুইটে আইশা কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগের টুইটার একাউন্টকে ট্যাগ করেন।

পরে আজ বুধবার টুইটের মন্তব্যের ঘরে অবশ্য লেখেন, ‘মুখ না ঢেকে হিজাব পরার অনুমোদন দিচ্ছে তালেবান। আমার মনে হয় এখন পর্যন্ত ঠিক আছে। তবে আমি তাদেরকে বিশ্বাস করি না। এটা তাদের বাস্তবায়ন করে প্রমাণ করতে হবে।’

আরও পড়ুন: ‘সংবাদমাধ্যমে উদ্বৃতি দেয়ায়’ অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীরকে শাস্তি

তালেবানের কাবুল দখলের পর থেকে কাবুল বিমানবন্দরসহ শহড়জুড়ে আতঙ্কগ্রস্ত মানুষজনের অবস্থা তুলে ধরে একের পর এক টুইট আপডেট দিয়ে আসছেন আইশা আহমদ।

তিনি এর মধ্যে বহুবার নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। নিরাপত্তার কারণ উল্লেখ করে টুইটারে নিজের ছবি অন্য একজনের ছবি দিয়েছেন বলে লিখে রেখেছেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ