শিক্ষার্থীদের সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে বাধ্য করছে চীন
তিব্বতের স্কুলছাত্রদের সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাধ্য করছে ৭০ বছর ধরে দেশটিতে আধিপত্য বিস্তার করা চীন। জানা যায়, চীনা কর্তৃপক্ষ গ্রীষ্মের ছুটিতে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচী চালু করে। জানা যায়, তিব্বতের রাজধানী লাসা এবং অন্যান্য এলাকা থেকে ৮-১৬ বছর বয়সী শিশুদের দক্ষিণ তিব্বতের নিঙ্গত্রিতে স্থাপিত দুটি প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো হচ্ছে। প্রশক্ষিণ শিবির দুটি ভারতের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের অদূরে কংপো অঞ্চলে অবস্থিত।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ইয়ং টিবেটান স্নো হক মিলিটারি সামার ক্যাম্প এবং তিব্বত রোং হি মিলিটারি ট্রেনিং সেন্টার নামে এই দুই শিবিরে তিব্বতী স্কুলছাত্ররা নিজস্ব তিব্বতী ভাষা শেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এই অঞ্চলে বসবাসকারী একজন তিব্বতী রেডিও ফ্রি এশিয়াকে এক লিখিত বার্তায় বলেন, লাসায় এখন স্কুল বিরতির সাথে সাথে তিব্বতীরা তিব্বতী ভাষা শেখার জন্য ব্যক্তিগত ক্লাস করার অনুমতি পাচ্ছে না, তাই চীনা কর্তৃপক্ষ তিব্বতী শিশুদের এই সামরিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাধ্য করছে, যেখানে তাদের রাজনৈতিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
ভারতভিত্তিক তিব্বত পলিসি ইনস্টিটিউটের ধর্মশালার গবেষক কর্মা তেনজিন বলেন, তিব্বতী শিশুরা গ্রীষ্ম ও শীতের ছুটিতে তিব্বতী স্কুল ও মঠে যোগ দেয়। কিন্তু এখন সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই। এই ধরনের কর্মসূচির কৌশলের মাধ্যমে তরুণ তিব্বতিদের মগজধোলাই করার চেষ্টায় রত চীন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি তাদের স্কুল বিরতির সময় তরুণ তিব্বতিদের মধ্যে তাদের নিজস্ব মতাদর্শ এবং চীনা জাতীয়তাবাদ স্থাপন করছে এবং অবশেষে এটি তিব্বতী ভাষার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। চীনা সরকার যেভাবে সীমান্ত এলাকায় সামরিক শিবির স্থাপন করছে, ভবিষ্যতে এগুলোকে সামরিক ঢাল এবং শিশুদের সৈন্য হিসেবে ব্যবহার করবে।
উল্লেখ্য, তীব্বতীরা একটি স্বাধীন জাতি হলেও ৭০ বছর ধরে সেখানে আধিপত্য চালিয়ে যাচ্ছে চীন।