‘বৈবাহিক ধর্ষণ বিবাহ বিচ্ছেদের যুক্তিযুক্ত কারণ হতে পারে’
ভারতের কেরালা রাজ্যের হাইকোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, বৈবাহিক ধর্ষণ বিবাহবিচ্ছেদের যুক্তিযুক্ত কারণ হতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই রায়ের ফলে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাগুলো ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে।
নৃশংস যৌনতার অভিযোগের ভিত্তিতে বিবাহবিচ্ছেদের পক্ষে একটি পারিবারিক আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন জমা দিয়েছিলেন স্বামী। কেরালা রাজ্যের হাইকোর্ট সে আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
রাজ্যটির উচ্চ আদালত জানিয়েছে, ভারতের মতো দেশে বৈবাহিক ধর্ষণ এখনও দণ্ডনীয় অপরাধ বলে যদিও বিবেচিত নয়। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় তা যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য কারণ।
বিচারপতি এ মুহামেদ মুসতাক ও বিচারপতি কাউসের এদাপ্পাগাথের বেঞ্চ জানায়, এ ঘটনায় স্বামীর সম্পদ ও যৌনতার উদগ্র বাসনায় অতিষ্ঠ হয়ে বিবাহবিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে হয়েছে স্ত্রীকে। স্বামীর শত্রুপরায়ণ আচরণে স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হয়েছে। কিন্তু বিয়ে করেছেন বলে স্ত্রীর ব্যক্তি স্বাধীনতা উপেক্ষা করে তাঁর শরীরের উপর বলপূর্বক স্বামীর কর্তৃত্ব বৈবাহিক ধর্ষণ ব্যতীত কিছু নয়।
আরও পড়ুন: করোনায় ঝরে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ১৮ শিক্ষার্থীর প্রাণ
আদালত জানায়, আধুনিক সমাজব্যবস্থায় বিবাহবন্ধনে থাকা স্বামী এবং স্ত্রী, দুজনেই একে অপরের সমান। স্ত্রীর শরীর হোক বা তাঁর আত্মপরিচয়, কোনোকিছুতে কর্তৃত্ব চালাতে পারেন না স্বামী। স্ত্রীর শরীরকে স্বামী যদি নিজের সম্পত্তি ভাবেন এবং ইচ্ছের বিরুদ্ধে সঙ্গমে লিপ্ত হন, তা বৈবাহিক ধর্ষণ ছাড়া কিছু নয়।