‘বিচ্ছেদ কখনও মধুরও হয়’—ডিভোর্সের ঘোষণা দিলেন ন্যান্সি
দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। স্বামী নাজিমুজ্জামান জায়েদের সাথে আর পথ না চলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দু'জন এখন থেকে দুই মেরুর বাসিন্দা।
বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ন্যান্সি তার ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের ঘোষণা দেন। এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে গায়িকা লেখেন— ‘সংসার জীবনে বিচ্ছেদ মানেই মানসিক নিপীড়ন, পরিবারের দূর সম্পর্কের আত্মীয়দের টিপ্পনি, সমাজের নোংরা কথা... ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু নিজের ওপর ভরসা থাকলে এই কঠিন সময়টাও সহজ হয়ে যায়। আমার বেলায় তাই হয়েছে। দুটো মানুষ একে অপরের বিরক্তির কারণ না হয়ে বরং সম্মানের সঙ্গে আলাদা হয়ে যাওয়াই শ্রেয়। নতুন পথে যাত্রা শুরু করলাম। তাই বলি— বিচ্ছেদ কখনও মধুরও হয়।’
সংসার ভাঙার কারণ সম্পর্কে ন্যান্সি বলেন, আমি একটু একা থাকতে চাই। সেই কাজটিই আসলে সম্পন্ন করলাম। বিস্তারিত ফেসবুকে লিখেছি। আমি কখনও কোনো কিছুই লুকাই না। তাই ফেসবুকের মাধ্যমে সবাইকে জানিয়েছি। অনেক বছর পর একা হলাম। এ এক নতুন অভিজ্ঞতা। কিছু দিন এভাবেই থাকতে চাই।
আবার বিয়ে নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, 'আবারও বিয়ে করতে চাই, তবে তা কখন হবে তা বলতে চাচ্ছি না। তবে যা-ই করি না কেন, সবাই তা জানতে পারবেন। বিয়ের খবর লুকানোর বিষয় নয়। এটি একটি সুন্দর বিষয়। আপাতত এর বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
এর আগে ২৫ এপ্রিল ন্যান্সি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আমি এবং জায়েদ দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকছি। তবে মাঝে মধ্যেই আমাদের দেখা অথবা ফোনালাপ হয়। আমার এবং জায়েদের একমাত্র কন্যাসন্তান নায়লা তার বাবার সঙ্গেই থাকে। নায়লাকে নিজের কাছে রাখবার সিদ্ধান্ত এককভাবে জায়েদের। যেহেতু স্বামী-স্ত্রীর বাইরেও আমরা দীর্ঘদিনের বন্ধু কাজেই বোঝাপড়াটা মন্দ নয়। তবে নাটকীয়ভাবে বলব না- আমরা আজীবন বন্ধু থেকে যাব। কিছু বৈরি সম্পর্ক তৈরি না হলে নিশ্চই আলাদা থাকতাম না। কে সঠিক, কে বেঠিক- এ নিয়ে ফিসফিস করবার কিছুই নেই। আমাকে অথবা জায়েদকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলেই হয়।’
উল্লেখ্য, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি ২০০৬ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন ব্যবসায়ী আবু সাঈদ সৌরভকে। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১২ সালের ২৪ মে ছয় বছরের সংসারজীবনের ইতি টানেন তিনি। তাদের একমাত্র মেয়ে রোদেলা। ন্যান্সী পরবর্তীতে নাজিমুজ্জামান জায়েদকে ২০১৩ সালের ৪ মার্চ বিয়ে করেন। জায়েদ ময়মনসিংহ পৌরসভায় চাকরি করছেন এবং ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত।