পরমণির অভিযোগ আনা কে এই নাসির ইউ মাহমুদ?
অভিনেত্রী পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি নিজেই এমন অভিযোগ করেছেন। রবিবার (১৩ জুন) রাত ৮টার দিকে তার ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি জানান তিনি।
এরপর গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরলেন ঘটনা। তিনি জানান, তার ওপর সেদিন রাতে নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছেন নাসির ইউ মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি।
নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে পরীমণি বলেন, উত্তরার বোট ক্লাবে তার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে। নাসির ইউ মাহমুদ নামে একজন নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ঘটনার দিন রাত ১২টার পর পরিচিতজনদের নিয়ে ওই ক্লাবে যান নায়িকা। সেদিন চার জন মদ্যপ ব্যক্তি তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। চড়-থাপ্পড় মারেন। গায়ে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে একজন তাকে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে ধর্ষণের চেষ্টাও করেন।
তিনি বলেন, আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে নই। কিন্তু কোনো কারণে আমি যদি মারা যাই, ধরে নেবেন আমাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
জানা গেছে, বোট ক্লাবের একজন পরিচালক নাসির ইউ মাহমুদ। উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতিও ছিলেন এই শিল্পপতি। পরীর ভাষ্যে বেশ কয়েকবার ‘উত্তরা বোট ক্লাব’ শব্দটি আসে। যদিও এই নামে ঢাকায় কোনও ক্লাব নেই। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি উত্তরা ক্লাব ও ঢাকা বোট ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
পরীমণি বলেন, বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তার এক বন্ধু বাসায় আসেন। বাসা থেকে তাকে উত্তরার বোট ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে সবসময় থাকেন এবং নাচ করেন... ছেলেটি ছিলেন। বোট ক্লাবে যাওয়ার পর সেখানে জিমি ও পাঁচজনের একটি গ্রুপ ছিল। তাদের মুরব্বি ছিলেন নাসির উদ্দিন। তিনি বোর্ড ক্লাবের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন।
নাসিরসহ উপস্থিত সাত/আটজন তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন। জিমি এ সময় সাইডে চলে যায়। ওই পাঁচ/সাতজন তাকে আটকে ফেলেন। তাকে জোর করে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করে ফেলা হয়। তার সঙ্গে থাকা ছেলেটিকে (একসঙ্গে নাচ করেন) মারধর করা হয়। অশ্লীল নানা কথাবার্তা বলা হয়। মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।
নাসির তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ করেন পরীমণি।