‘বাংলাদেশের অনেকে ইসরায়েল ভ্রমণের জন্য যোগাযোগ করেছেন’
বাংলাদেশের নাগরিকদের ইসরায়েল ভ্রমণের আহ্বান জানিয়ে রোববার টুইট করেন ইসরায়েলের সোমরোন অঞ্চলের ডেপুটি গভর্নর ডেভিড হাইভ’রি। নিজের ভেরিফায়েড টুইটার একাউন্টে হাইভ’রি বলেন, ‘বাংলাদেশের কেউ ইসরায়েল ভ্রমণ করতে চাইলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’
পরে সোমবার আরেক টুইটে হাইভ’রি বলেন, ‘ইসরায়েলি একজন ইহুদি হিসেবে আমি উচ্ছ্বসিত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মুসলিমদের অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে মেসেজ দিয়েছেন। এটা অপ্রত্যাশিতই ছিল।’
অন্যদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হয়, দারুণ খবর! বাংলাদেশ ইসরায়েলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। পোস্টে বাংলাদেশকে নতুন বন্ধু আখ্যা দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
এ ছাড়াও ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপপরিচালক ও রাষ্ট্রদূত গিলাড কোহেন টুইটবার্তায় বলেন, ‘ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এটি শুরুর পদক্ষেপ, বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পথে সামনে এগোয়। এটি হলে দুই দেশের মানুষজন উপকৃত হবে।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অবশ্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়নি বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেনও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়নি বলে জানান। তিনি বলেন, “নতুন পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ছাড়া বিশ্বের সব দেশের ক্ষেত্রে বৈধ’ শব্দগুলো সরিয়ে নেওয়ার অর্থ এই নয় যে, বাংলাদেশের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়েছে।”
ড. মোমেন আরও বলেন, ‘এটা সত্য যে বিশ্বের কোনো পাসপোর্টে এ জাতীয় শব্দ নেই। বৈশ্বিক মান বজায় রাখতে এই পরিবর্তন করা হয়েছে।’
‘ইসরায়েল ছাড়া এই পাসপোর্ট বিশ্বের সব দেশের জন্য বৈধ’ (দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সেপ্ট ইসরায়েল) কথাটি বদলে এখন বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা হচ্ছে, ‘এই পাসপোর্ট বিশ্বের সব দেশের জন্য বৈধ (দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড)। কোনো ঘোষণা ছাড়াই এই পদক্ষেপ নেওয়ায় সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।