রিহানা, থুনবার্গের বিরুদ্ধে টুইট করে তোপের মুখে শচীন টেন্ডুলকার
কৃষক আন্দোলন নিয়ে অচলাবস্থার মধ্যে ভারতের পক্ষে টুইট করেছেন শচীন টেন্ডুলকার। বুধবার রিহানা, গ্রেটা থানবার্গের টুইটের বিরোধিতা করে কড়া সুরেই টুইট করেছেন শচীন। লিখেছেন ‘বহিরাগত কোনও শক্তি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা গলাতে পারে না, দেশ আমাদের, দেশের ভাল-মন্দ বোঝার দায়িত্বও আমাদের।’
আর এতেই নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। তবে তিনি একা নন, একই সুরে টুইট করেছেন লতা মঙ্গেশকর, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন, কঙ্গনা রানাউয়াতের মতো প্রথম সারির তারকারা। জি নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
আন্দোলন চলাকালে গতকালই কৃষক আন্দোলন নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ। কৃষক আন্দোলনে ব্যবহার করা হয়েছে আপত্তিকর হ্যাশট্যাগ #ModiPlanningFarmerGenocide- এ যারা টুইট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য টুইটারকে নোটিস পাঠিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। তাদেরকে জানিয়েছে, নির্দেশিকা সত্ত্বেও আপত্তিকর হ্যাশট্যাগের সঙ্গে যুক্ত টুইটার অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ব্যবস্থা না নিলে টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আর এর সঙ্গে সুর মেলাতে গিয়ে শচীনের টুইট ঘিরে ইতিমধ্য়েই নিন্দার ঝড় উঠেছে। বুধবার মাস্টার ব্লাস্টার টুইটে আরো লিখেছেন 'ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপস করা যায় না। বহিরাগত কোনও শক্তি ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়ে মাথা গলাতে পারে না। তাঁরা শুধুমাত্র দর্শক হতে পারে তবে অংশগ্রহণকারী হতে পারে না। ভারতীয়রাই শুধুমাত্র ভারতকে জানে এবং দেশের ভাল-মন্দ বোঝার দায়িত্বও দেশবাসীরই। আসুন আমরা জাতি হিসাবে এক্যবদ্ধ থাকি।’
এদিকে জোরালো হচ্ছে রাজধানীর কৃষক আন্দোলন। শুধু দেশই নয়, ইতিমধ্যে বিদেশেরও সমর্থন পেয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। শুরু হয়েছিল জাস্টিন ট্রুডোকে দিয়ে। এরপর মার্কিন গায়িকা রিহানা থেকে সুইডিশ পরিবেশবিদ গ্রেটা থুনবার্গ একে একে অনেকেই সোচ্চার হয়েছেন কৃষকদের সমর্থনে। আর ঠিক এরপরই শচীনের কটাক্ষ, ‘ভারতীয়রাই ভারতকে জানে এবং ভারতই সিদ্ধান্ত নেবে, যা মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না নেটিজেনরা।
শচীনের বিরোধিতা করে টুইট ঝড় উঠেছে। কেউ বলছেন, টেনিস এলবোর পাশাপাশি শিড়দাঁড়াও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শচীনের। চলচ্চিত্র পরিচালক, অনুভব সিনহা রিহানার নাম না করেই তাঁকে নিয়ে লিখেছেন, ‘‘There’s a brown girl in the ring’ What a song’। অনেকে লিখেছেন, আজ থেকে শচীনের ভাবমূর্তি বদলে গেল তাঁর কাছে। কেউ আবার লিখেছেন শচীনের লেখা বই পুড়িয়ে ফেলবেন তিনি। সবমিলিয়ে কৃষক আন্দোলেনের বিরোধিতা করে সাধারণ মানুষের রোষের মুখে পড়েছেন লিটল মাস্টার।
উল্লেখ্য, কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোয় রিহানা, থানবার্গের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রিহানা, থানবার্গের উদ্দেশে লেখা হয়, ‘সংবেদনশীল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাশট্যাগের প্রলোভন দেখিয়ে তারকারা যখন কোনও মন্তব্য করেন কিংবা কোনও কিছুকে সমর্থন করেন, সবসময় তা সঠিক হয়না বা দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয় না।’
তোপ দেগেছেন কঙ্গনা রানাউতও। তাঁদের টুইটের পরেই চড়তে থাকে পারদ। ‘ভুয়ো’ হ্যাশট্যাগ নিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। রিহানার টুইট সামনে আসার পরই কার্যত তেড়ে ওঠেন তিনি।