ঝাড়খণ্ডে পাঁচ সন্তানের জননীকে ১৭ জন মিলে ধর্ষণ
স্বামীর সঙ্গে বাজার থেকে ফেরার সময় পথ আটকে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ১৭ জনের বিরুদ্ধে। ৩৫ বছরের ওই নারী পাঁচ সন্তানের জননী। গত মঙ্গলবার রাতে নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার মুফাসসিল থানা এলাকায়। নির্যাতিতা গতকাল পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে ডিআইজি সুদর্শন মণ্ডল জানিয়েছেন, ওইদিন রাতে আচমকাই হানা দেয় অভিযুক্তরা। তারা সকলেই মদ্যপ ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ওই নারীর দেওয়া বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, গ্রামের বাজার থেকে রাতে ফেরার সময় অভিযুক্তরা তাঁদের উপরে চড়াও হয়। তার স্বামীকে বন্দি করে তাঁর উপর নির্যাতন চালায় তারা।
নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় তিনি একজনকেই শনাক্ত করে পেরেছেন। তাকে আটক করেছে পুলিশ। সে ওই অপরাধে যুক্ত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখে জেলে পাঠানো হবে। তবে ওই নারীর বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
ডিআইজির কথায়, ‘আমরা গ্রামবাসীদের ধরে ধরে প্রশ্ন করে খতিয়ে দেখছি বিষয়টা। কেননা নারী তাঁর বয়ান বদলাচ্ছেন। যখন ওঁকে ওঁর গ্রামে গিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি জানিয়েছিলেন তাঁকে পাঁচজন ধর্ষণ করেছে।’
এ ঘটনা কেন্দ্র করে ঝাড়খণ্ড সরকারকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মুখপাত্র প্রতুল শাহদেও অভিযোগ করেছেন, হেমন্ত সোরেনের সরকারের আমলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। তাঁর কথায়, ‘এখানে জঙ্গলরাজ চলছে। আমাদের দাবি, এই ধর্ষণ কাণ্ডে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি করে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করা হোক।’ খবর: সংবাদ প্রতিদিন।