করোনাকালে গণিতে পিছিয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা: গবেষণা

  © ফাইল ফটো

বিশ্বে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যে কারণে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে কোটি কোটি শিক্ষার্থী। যদিও করোনার প্রভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পড়ে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে অনলাইনে ক্লাস বহমান ছিল। তবুও এর ক্ষতি পোষানো যায়নি অনেকাংশই।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা পরিস্থিতির এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময় গণিতে পিছিয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় থেকে অষ্টম গ্রেডে পড়ুয়া প্রায় ৪৪ লাখ শিক্ষার্থীর পড়াশোনার অগ্রগতি মূল্যায়নে দেখা গেছে, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই গণিতে পিছিয়ে পড়েছে। গতবছর যারা মূল্যায়নে অংশ নিয়েছিল, তাদের তুলনায় এবছরের শিক্ষার্থীরা গড়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পয়েন্ট কম পেয়েছে।

অবশ্য একই সময়ে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার উন্নতি হয়েছে। অর্থাৎ, আগের শিক্ষার্থীদের তুলনায় এবারের শিক্ষার্থীরা বই পড়ায় তুলনামূলক বেশি নম্বর পেয়েছে।

গবেষণাভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা এনডব্লিউইএ পরিচালিত ওই বার্ষিক মূল্যায়নে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ এবং হিসপানিক শিক্ষার্থীদের অবস্থা বেশি খারাপ। করোনাকালে তাদের শিক্ষার মান আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। এই মহামারি দেশটির দীর্ঘস্থায়ী শিক্ষাগত বৈষম্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এনডব্লিউইএ’র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মেগান কুহফেল্ড বলেন, এটি উদ্বেগের বিষয় এবং শিশুদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সাহায্য করায় গুরুত্ব দেয়ার অন্যতম কারণ।

গবেষণায় কুহফেল্ড এব তার সহকর্মীরা দেখেছেন, মহামারিজনিত স্কুল বন্ধের কারণে অরক্ষিত শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দক্ষতা হারিয়ে গেছে, যা পরবর্তীতে তাদের বড় সমস্যায় ফেলতে পারে। এই বিপদ এড়াতে হলে ক্ষতি পোষাতে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

তবে চিন্তার বিষয় হচ্ছে, এনডব্লিউইএ’র এই গবেষণায় সংকটের পুরো চিত্রটা দেখা যায় না। কারণ, এবছর প্রায় এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থীই মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।

 


সর্বশেষ সংবাদ