যুক্তরাষ্ট্রের প্যাটারসনের কাউন্সিলম্যান বাংলাদেশি শাহীন
যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের প্যাটারসন সিটি কাউন্সিলের বিশেষ নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি আমেরিকান সাবেক কাউন্সিলম্যান শাহীন খালিক।
৩ নভেম্বর প্যাটারসন সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফল প্রকাশ করা হয়। এই ভোটে শাহীন খালিক তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলম্যান বাংলাদেশি আমেরিকান মো. আক্তারুজ্জামান ফয়সালকে মাত্র ১০০ ভোটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন।
ওই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবেক দুই কাউন্সিলম্যান ছাড়াও নির্বাচনী ময়দানে লড়াই ছিলেন ৫ প্রার্থী। শাহীন খালিক পেয়েছেন ২ হাজার ৭৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আক্তারুজ্জামান পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬২ ভোট।
এছাড়া অপর তিন আমেরিকান প্রার্থী এডি গঞ্জালেজ ১৫৮৩, সোনিয়া ডেলিজ ১১০০ এবং ফ্রাঙ্ক ফিলিপ্পেল্লি ৯৪৩ পেয়েছেন ভোট। গত ১২ মে এই ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কাউন্সিলম্যান পদে সাবেক ওই দুই কাউন্সিলম্যান মো. আক্তারুজ্জামান ফয়সল ও শাহীন খালিক সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন।
এ কারণে এই ভোটে কাউকে বিজয়ী ঘোষণা না করে ৩ নভেম্বর প্রসিডেন্ট নির্বাচনের সাথে ওই বিশেষ নির্বাচনের এই আয়োজন করে পেসাইক কাউন্টি নির্বাচন অফিস।
২০১৬ সালে সিটির ওয়ার্ড কাউন্সিল নির্বাচনে শাহীন খালিক এক হাজার ৩৮৬ ভোট পেয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক কাউন্সিলম্যান মো. আক্তারুজ্জামান ফয়সাল পেয়েছিলেন ১ হাজার ৩৪৬ ভোট।
এর আগে, ২০১২ সালের সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে তিনবারের নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলম্যান আসলাম গাউ ও সাবেক মেয়র জয়ী টরেস পত্নী সোনিয়া টরেসকে হারিয়ে মো. আক্তারুজ্জামান ফয়সাল প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর প্যাটারসন সিটিতে ২০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসীর বসবাস। ২ নম্বর ওয়ার্ডে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর ভোটার রয়েছেন সাড়ে ১৪ হাজার।
টানা ৮ বছর ধরে ওয়ার্ডটি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবেক দুই কাউন্সিলম্যানদের দখলে। এর মধ্যে ৪ বছর করে পর্যায়ক্রমে দ্বায়িত্বপালন করেছেন মো. আখতারুজ্জামান ফয়সাল এবং শাহীন খালিক।
কাউন্সিলম্যান শাহীন খালিকের জন্ম সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ১ নম্বর আলীনগর ইউনিয়নের টিকরপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম মরহুম আব্দুল খালিক। পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় তিনি ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিভেদ ভুলে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে কাজ করার এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে সুন্দর-পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।