বেশি আলসেমি করলেই মিলছে ‘আসল হিরো’র খেতাব!
করোনাকালে বাইরে বের হননি যারা, বাসায় থাকা ‘অলস’ মানুষদেরই ‘আসল হিরো’ বলে অভিহিত করছে জার্মানি। গত শনিবার প্রকাশিত হবার পর থেকেই জার্মান সরকারের এমন একটি বিজ্ঞাপন অনলাইনে জনপ্রিয় হতে থাকে। বিজ্ঞাপনের বিষয় করোনাকালীন দিনগুলির ‘আসল হিরো’৷ ইংরেজিতে যাদের বলে ‘কাউচ পটেটো’ বা সোফা থেকে উঠতে না চাওয়া অলস ব্যক্তি। সেই কাউচ পটেটোদেরকেই বিশেষ হিরোর মর্যাদা দিচ্ছে এই বিজ্ঞাপনটি বলে জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
দেড় মিনিটের ভিডিও বিজ্ঞাপনটি শুরু হয় এক বৃদ্ধের ভাষ্যের মাধ্যমে, যেখানে তিনি তার ফেলে আসা যৌবনের একটি বিশেষ বছর-২০২০ সালের কথা স্মরণ করেন। তারুণ্যের উচ্ছ্বল দিনের কথা বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার তখন বাইশ বছর বয়স, সদ্য প্রকৌশলবিদ্যা পড়া শুরু করেছি। যে বয়সে আমাদের হেসে, খেলে, ঘুরে বেড়ানোর কথা ছিল, সেই বয়সে আমরা সম্মুখীন হই করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় দফার আঘাতের।’
নাটকীয় আবহসংগীতের সাথে বৃদ্ধের স্মৃতিচারণ, ‘আমাদের প্রজন্মের হাতেই তখন ছিল দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা। তাই দায়িত্ব বুঝে নিয়ে যা করা উচিত, আর আমরা সেটাই করলাম। আমরা লক্ষ্যে অনড় থেকেছি দিনরাত। এক জায়গা থেকে নড়িনি, কিছু করিনি। বাসার সোফায় এক জায়গায় বসে আমরা প্রথম সারি থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়ে গিয়েছি।’
এই নাটকীয় অথচ মজার বিজ্ঞাপনে হিরোর চরিত্রকে দেখা যায় একটি সোফার ওপরে চাদরমুড়ি দিয়ে ঠায় বসে থাকতে। ঠিক পাশেই দেখা যায় জার্মানিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দের সহজলভ্য পিৎজা। বিজ্ঞাপনটির স্লোগান ‘লড়াইয়ের ময়দান যখন সোফা, তখন ধৈর্য্যই লড়াইয়ের অস্ত্র’ অনলাইনে আলোড়ন তুলেছে। সরকারের বার্তা ‘বাসায় থাকলেও হিরো হওয়া যায়’ তরুণ প্রজন্মকে বাইরে না যাওয়ার কথা মনে করাচ্ছে।
নভেম্বরজুড়ে ‘লকডাউন লাইটের’ আবহে বর্তমানে জার্মানি করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় দফার সাথে লড়ছে। এমন সময়ে এই বিজ্ঞাপন কেমন প্রভাব ফেলে, তার বিচার সময়সাপেক্ষ।