বর্ষসেরা শব্দ ‘লকডাউন’

প্রতীকী
প্রতীকী

করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে মানুষের জীবনযাপন যেমন বদলে গেছে, তেমনি যোগাযোগের ক্ষেত্রে বদলে গেছে নিত্য ব্যবহৃত শব্দ। যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত ইংরেজি অভিধান কলিনস ডিকশনারির হিসেবে এবারের বর্ষসেরা শব্দ ‘লকডাউন’।কলিনস ডিকশনারি আজ মঙ্গলবার এই ঘোষণা দিয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশের সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমিয়ে আনার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার প্রতিশব্দে পরিণত হয়েছে লকডাউন। যদিও ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ লকডাউনের আভিধানিক অর্থ হলো, ‘ভ্রমণ, সামাজিক সম্পৃক্ততা এবং জনসমাগমস্থলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ।’

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মূলত বিভিন্ন ওয়েবসাইট, বই, সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন ও কথপোকথনে ব্যবহৃত শব্দ থেকে একটি হিসাব দাঁড় করিয়েছে কলিনস ডিকশনারি। এই হিসাব অনুসারে, গত বছরের তুলনায় ‘লকডাউনের’ ব্যবহার ৬ হাজার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির আরেক গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এর বিপরীতে চলতি বছর লকডাউন শব্দটি আড়াই লাখবার ব্যবহারের রেকর্ড পাওয়া গেছে।

কলিনস ডিকশনারির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হারপার কলিনস জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে শত কোটি মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তারই একটি সামগ্রিক প্রতিফলন হলো এটি।

কলিনস জানিয়েছে, কি ওয়ার্কার শব্দটির ব্যবহার ৬০ গুণ বেড়েছে। সমাজে এমন কর্মীদের গুরুত্ব যে বেড়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে এসব শব্দ ব্যবহার থেকে। কলিনসের ভাষাবিষয়ক পরামর্শক হেলেন নিউস্টেড বলেন, এই বছর সবচেয়ে প্রভাব বিস্তার করেছে করোনার মহামারি। কারণ, সব ক্ষেত্রে এই মহামারির প্রভাব পড়েছে। ফলে এসব শব্দের ব্যবহার বেড়েছে।

শুধু লকডাউনই এবার ব্যবহার করা হয়, এমনটা নয়। ব্যবহারের শীর্ষে থাকা ১০টি শব্দের মধ্যে ৬টি শব্দ এই মহামারি–সংক্রান্ত। লকডাউন ছাড়া বাকি পাঁচটি হলো ‘করোনাভাইরাস’, ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’ (সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা), ‘সেলফ আইসোলেশন’ (নিজ উদ্যোগে সঙ্গনিরোধ), ‘ফোরল’ (ছুটিতে থাকার অনুমতি), ‘কি ওয়ার্কার’ (মহামারির সময় কর্মরত গুরুত্বপূর্ণ খাতে কর্মীরা)।


সর্বশেষ সংবাদ