স্টার জলসা বন্ধ নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন ঢাকায়
চার দিন ধরে দেশের কিছু কিছু এলাকায় বন্ধ ভারতীয় স্টার জলসাসহ ভারতীয় স্টার গ্রুপের সাতটি টেলিভিশন চ্যানেল। কেবল্ অপারেটরদের একাংশ স্টারের বাংলাদেশের পরিবেশক যাদু ভিশন লিমিটেডকে বয়কট করায় গ্রাহকদের অনেকে চ্যানেলগুলো দেখতে পারছেন না।
এই চ্যানেলগুলো হলো- স্টার জলসা, স্টার প্লাস, জলসা মুভিজ, স্টার গোল্ড, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, জিও ওয়াইল্ড ও স্টার ভারত।
কোয়াব ঐক্য পরিষদ নামের একটি সংগঠন গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে বাংলাদেশে চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ রাখে। তাদের দাবি, স্টারের চ্যানেলের স্থানীয় পরিবেশক বিলের রসিদ দেয় না। অবৈধভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তাদের আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে স্টারের চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ নিয়ে রাজধানীতে গতকাল রোববার দুটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বনানীতে একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কোয়াব ঐক্য পরিষদ বলেছে, তারা স্টারের চ্যানেল বন্ধের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। অন্যদিকে কোয়াব সমন্বয় কমিটি ও মুক্তধারা ফাউন্ডেশন (কোয়াব) নামের দুটি সংগঠন জাতীয় প্রেসক্লাবে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, স্টারের চ্যানেল বয়কটের এখতিয়ার ঐক্য পরিষদের নেই।
বনানীতে একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কোয়াব ঐক্য পরিষদ বলেছে, তারা স্টারের চ্যানেল বন্ধের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। অন্যদিকে কোয়াব সমন্বয় কমিটি ও মুক্তধারা ফাউন্ডেশন (কোয়াব) নামের দুটি সংগঠন জাতীয় প্রেসক্লাবে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, স্টারের চ্যানেল বয়কটের এখতিয়ার ঐক্য পরিষদের নেই।
বাংলাদেশে বিদেশি চ্যানেলগুলো পরিবেশকেরা স্থানীয় কেবল্ অপারেটরদের নির্দিষ্ট ফিয়ের বিনিময়ে চ্যানেলগুলো সম্প্রচারের সুযোগ দেয়। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদ জানায়, যাদু ভিশন কর্তৃপক্ষ সংকট নিরসনের পথে না হেঁটে ব্যবসায়ী ও কেবল্ অপারেটরদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার করছেন। ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক এস এম আনোয়ার পারভেজ বলেন, যাদু ভিশনের সঙ্গে কেবল অপারেটরদের বাণিজ্যিক বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে তারা তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চান।
ওদিকে সমন্বয় কমিটির নেতারা বলছেন, নিজেদের হীন স্বার্থ হাসিল করতেই ঐক্য পরিষদ স্টার গ্রুপকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এস এম শামসুর রহমান বলেন, চ্যানেল বন্ধ রেখে জনগণকে জিম্মি করলে কেবল অপারেটরদেরই ক্ষতি হবে।
এ বিষয়ে যাদু ভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুনাল দেশমুখ্য পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে ৬০০ জনের বেশি কেবল্ ব্যবসায়ী রয়েছেন। এর মধ্যে অল্প কিছু সংখ্যক নিজেদের ঐক্য পরিষদ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে অবাঞ্ছিত বিভিন্ন বিষয় সামনে এনে আধিপত্য প্রমাণের চেষ্টা করছে।
এতে আরো বলা হয়, নানা অজুহাতে তাদের বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া রাখা হচ্ছে। যাদু ভিশন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে চেয়েছে। তবে ঐক্য পরিষদ ‘অনৈতিকভাবে’ সারা দেশের কেবল্ অপারেটরদের বিল সংগ্রহ করতে চাইছে।