ট্রাম্প-বাইডেনের ভোট ‘কেড়ে নিয়েছেন’ এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা!

ডোনাল্ড ট্রাম্প, জো বাইডেন এবং জো জরগেনসেন
ডোনাল্ড ট্রাম্প, জো বাইডেন এবং জো জরগেনসেন  © ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি মোট ২৬৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট জিতেছেন। আর ৬টি পেলেই প্রয়োজনীয় ম্যাজিক ফিগার ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন বাইডেন।

অপরদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। ফলে বাইডেনকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনে করছেন সারাবিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে এই দুই প্রার্থীর দিকেই সব আলো থাকলেও আরও অনেকেই কিন্তু লড়েছেন নির্বাচনে। এবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন অন্তত এক হাজার ২১৪ জন।

তবে এরমধ্যে ট্রাম্প-বাইডেনের ‘পথের কাঁটা’ হিসেবে দাঁড়িয়েছেন একজন। তিনি ৬৩ বছর বয়সী জো জরগেনসেন। সিএনবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লিবারটারিয়ান পার্টি থেকে অংশ নেয়া এই প্রার্থী ৪৫ রাজ্যে তার প্রতীক নিশ্চিত করেছেন। ভোটও পেয়েছেন ১৭ লাখের বেশি। এবারের মার্কিন নির্বাচনে জরগেনসেনকেই চমক বলছেন সবাই।

জরগেনসেন ব্যাটলগ্রাউন্ড পেনসিলভানিয়া ও জর্জিয়াতে ট্রাম্প-বাইডেনের ‘পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে। পেনসিলভানিয়াতে ৭৭ হাজার আর জর্জিয়াতে ৬১ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। এই দুই অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে।

অনেকের মতে, জরগেনসেন ভোটগুলো না পেলে ফলাফল বদলে যেত, তিনি বড় দুই প্রার্থীর ভোট ‘কেড়ে নিয়েছেন’। তবে এতে ভিন্নমত জরগেনসেনের। তাঁর কথায়, তৃতীয় কোনো প্রার্থী ভোট কেড়ে নেয় না। তিনি বলেন, ‘একে ভোট কেড়ে নেওয়া বলে বিবেচনা করি না। এগুলো মার্কিন নাগরিকদের ভোট।’

৬৩ বছর বয়সী লিবারটারিয়ান দলীয় প্রার্থী জরগেনসেন ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। তিনি দুই সন্তানে মা। এছাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড অর্গানাইজেশনাল সাইকোলজিতেও করেছেন পিএইচডি। তিনি এ পর্যন্ত ১৭ লাখ ২৪ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন।

জো জরগেনসেন মার্কিন রাজনীতিতে আছেন দীর্ঘদিন ধরেই। তিনি একই দল থেকে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে হ্যারি ব্রাউনির রানিং মেট হিসেবে অংশ নেন। এর আগে ১৯৯২ সালে সাউথ ক্যারোলিনার ৪র্থ কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি চার হাজার দুশ’ ৮৬ ভোট পান। তবে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রতিটি রাজ্যেই ভোট পাওয়ার দিক থেকে ছিলেন তৃতীয় স্থানে।

এদিকে বাইডেনের দাবি, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে তিনি পর্যাপ্ত রাজ্যে জয় পেয়েছেন। এরইমধ্যে আবার ভোট জালিয়াতির অভিযোগে আইনি চ্যালেঞ্জ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরদিকে নির্বাচনে সিনেটে দু’দলের অবস্থানই সমান, পেয়েছে ৪৮টি করে আসন। আর হাউসে ডেমোক্রেটদের দখলে ২১২টি। আর রিপাবলিকানরা জিতেছে ১৯৪টি আসনে।


সর্বশেষ সংবাদ