দিনভর উল্টাপাল্টা বকেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, সিএনএনের বিশ্লেষণ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হওয়ার পর যেসব কর্মকাণ্ড দেখিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে বেশ কয়েকবার মিথ্যা দাবি করেছেন তিনি। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক বিশ্লেষণে বলেছে, নির্বাচন নিয়ে একের পর ভুল বকেছেন বা উল্টাপাল্টা কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রথমেই মেইল-ইন ব্যালটকে জালিয়াতি বলতে শুরু করেন তিনি। পরে তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাট গভর্নররা ভোট গণনার দায়িত্বে রয়েছেন। এরপর আবার বলেছেন, নির্বাচনের পরের দিন ভোট গণনা আইনবহির্ভূত ও অবৈধ। কিন্তু এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। নির্বাচন ইস্যুতে বুধবার সকাল থেকেই আগের পরিকল্পনা কার্যকর করতে শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুরুতেই নিজের জয় দাবি করেন, আবার প্রতারণারও অভিযোগ তোলেন। কিছু রাজ্যের ভোট গণনা শেষ না হলেও নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন ট্রাম্প। মধ্যরাতে হোয়াইট হাউসে নিজেকে জয়ী ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচনে জিতেছি।’ আবার প্রমাণ ছাড়াই কারচুপি হয়েছে বলে দাবি করেন।
এরপর দিনভর টুইটার ও ফেসবুকে ঝড় তোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই মাধ্যমেই একই কথা প্রচার করেন। তবে যা বলেন, সবকিছুই ছিল ভুল। ফলে টুইটার ও ফেসবুকে সতর্কতামূলক লেবেল জুড়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। তিনি একটি টুইটে দাবি করেন, কয়েকটি রাজ্যে পাঁচ লাখের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। বাস্তবে তখনো ভোট গণনা চলছিল। আরেক টুইটে বলেন, বিস্ময়কর ব্যালট তার এগিয়ে থাকা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। অথচ বাস্তবে তেমন কিছু ঘটেনি।
ফের টুইটে বলেন, ‘আমরা বড় ব্যবধানে জিততে যাচ্ছি।’ তখন নির্বাচনে চুরির চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেন, যার ভিত্তি নেই। পরে আরেক টুইট করে পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনা নিজের বলে দাবি করেন। মিশিগানেও জয় দাবি করেন। অথচ সংবাদমাধ্যমের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মিশিগানে জিততেন বাইডেন। এছাড়া গোপনে ব্যালট ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প, তার পক্ষেও প্রমাণ নেই।
এছাড়া ট্রাম্পের দল ভুয়া তথ্য ছড়ায় দিনভর। এরিক ট্রাম্প, প্রেস সেক্রেটারি ম্যাকনানিসহ অন্যরাও জয়ের দাবি করতে থাকেন। হাজির করেন ষড়যন্ত্রতত্ত্বও। সিএনএন বলছে, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে অসততা ট্রাম্পের বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছিল। এবারের নির্বাচনে ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট পেতে সেই পথই বেছে নিয়েছেন তিনি।