ফ্রান্সকে সমর্থন দিচ্ছে ভারত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ  © সংগৃহীত

সম্প্রতি ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ইসলাম এবং মুসলমানবিরোধী কর্মকাণ্ডে মুসলিমবিশ্ব যখন তীব্র প্রতিবাদ এবং ফরাসি পণ্য বর্জনের জোর দাবি জানাচ্ছে, তখন ভারত ফ্রান্সের পক্ষ নিয়ে সামাজিকমাধ্যম টুইটারে প্রচারণা চালাচ্ছে। যখন বিশ্বব্যাপী ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক দেয়া হচ্ছে, তখন ভারতে ফ্রান্সের সমর্থনে নানা হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করছে।

‘হ্যাশট্যাগ আমি ফ্রান্সের পাশে আছি; এবং ‘হ্যাশট্যাগ আমরা ফ্রান্সের সাথে আছি’ শিরোনামে সোমবার, মঙ্গলবার এবং বুধবারে ভারতের হাজারো টুইটার ব্যবহারকারী ফ্রান্সের প্রতি সংহতি জানিয়েছে।

টুইট বার্তায় এক ভারতীয় বলেন, উগ্র ইসলামি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্স যা কিছু করছে তাতে আমি আনন্দিত। উগ্রবাদী মাজহাবি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ম্যাক্রোঁর লড়াইয়ে ভারতীয়দের সমর্থন দেয়া উচিৎ। ফ্রান্সের প্রশংসা করা উচিৎ। ভারত সবসময় ফ্রান্সের সঙ্গে আছে। ‘হ্যাশট্যাগ ওয়েলডান ফ্রান্স’, ‘হ্যাশট্যাগ আই স্ট্যান্ডউইথ ফ্রান্স।’

ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতা ও পশ্চিম দিল্লির এমপি পরভেশ সাহিব সিং টুইট করেছেন, ‘সহিষ্ণুতাও ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া উচিত। #আইস্ট্যান্ডইউথফ্রান্স। ফরাসি প্রেসিডেন্ট, আপনি দারুণ কাজ করেছেন।’

ভারতের জাতীয় নিউজ চ্যানেল টিভি-নাইনের সম্পাদক ও অ্যাঙ্কর প্রিয়াঙ্কা দেও জৈন টুইটারে লিখেছেন, একজন খ্রিস্টান/হিন্দু/ইহুদী শিক্ষক যদি ক্লাসে মেরি/কৃষ্ণ/যীশুর কার্টুন দেখান ও তারপর একজন খ্রিস্টান/হিন্দু/ইহুদী তার শিরশ্ছেদ করে তাহলে অবশ্যই সেটা ওই ধর্মের উগ্র মৌলবাদ হিসেবে গণ্য হবে। ইসলাম কেন এর ব্যতিক্রম হবে?

এদিকে ২০১৪ সালে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় আসার পরই দেশটিতে মুসলমানবিরোধী মনোভাব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যার অনেক কিছুই ফরাসি প্রেসিডেন্টের চরিত্রের সঙ্গে মিলে যায়। 

ফ্রান্সের মুসলমানদের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ এবং সারা বিশ্বে ‘ইসলাম ধর্ম সংকট তৈরি করছে’ মন্তব্য করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মুসলিমবিশ্বে ক্ষোভ ছড়িয়ে দেন। ম্যাক্রোঁ জানান, তিনি ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধে ব্যবস্থা নেবেন না। তার এমন দায়িত্বহীন বক্তব্যের পরই মুসলমানদের সে ক্ষোভ দ্রুতগতি সর্বত্র ছড়াতে থাকে।


সর্বশেষ সংবাদ