৪ দেশের সুপার শপ থেকে ফরাসি পণ্য উধাও!
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর ইসলাম বিদ্বেষী মন্তব্যের পর আরব দেশগুলোর সুপারশপ থেকে ফরাসি উধাও হয়ে গেছে। যদিও পণ্য বর্জন না করতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে আহবান জানিয়েছে দেশটি। মহনবী (স.) এর কার্টুন দেখানোর পক্ষে ম্যাক্রো সাফাই গেয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। এমনকি দেশটির কিছু মুসলিম কমিউনিটির নিয়ন্ত্রণের হুশিয়ারিও দেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তার বক্তব্যের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত, জর্ডান এবং কাতারের অনেক দোকান থেকে ফরাসি পণ্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সৌদি আরবেও ব্যাপকভাবে ফরাসি পণ্য বর্জন করা হচ্ছে। এছাড়া লিবিয়া, সিরিয়া এবং গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভও দেখা গিয়েছে। শ্রেণীকক্ষে মহানবী (স.) এর কার্টুন দেখানোর পর এক শিক্ষককে হত্যার ঘটনায় ম্যাক্রো বিতর্কিত মন্তব্য করলে এই প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
তুরস্ক ও পাকিস্তানের নেতারা তার প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে অভিযোগ তুলেছেন, তিনি ‘বিশ্বাসের স্বাধীনতা’কে কদর করছেন না এবং ফ্রান্সের লাখ লাখ মুসলিমকে কোণঠাসা করছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, ইসলামের প্রতি ম্যাক্রোর দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে তার ‘মানসিক চিকিৎসা করানো দরকার।’
এদিকে রবিবার জর্ডান, কাতার ও কুয়েতের অনেক দোকানের তাক থেকে সরিয়ে নেয়া হয় ফরাসি পণ্য। ফ্রান্সে তৈরি হওয়া চুল এবং সৌন্দর্য পণ্য ডিসপ্লেতে রাখা হয়নি। কুয়েতে প্রধান একটি রিটেইল ইউনিয়ন ফরাসি পণ্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। বেসরকারি ইউনিয়ন অব কনজ্যুমার কো-অপারেটিভ সোসাইটি বলেছে, মহানবী (স.)-কে ‘বার বার অসম্মান’ করার কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ অবস্থায় এক বিবৃতিতে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বয়কটের এই ডাক ভিত্তিহীন এবং অবিলম্বে বাতিল করা উচিত। সেই সাথে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে উগ্র সংখ্যালঘুদের পরিচালিত সব হামলাও বন্ধ করা উচিত।’ এর আগে ম্যাক্রোন মন্তব্য করেন, ‘ইসলাম এখন গভীর সঙ্কটে রয়েছে।’
জানা গেছে, বিভিন্ন আরব দেশ যেমন সৌদি আরবে অনলাইনে এ ধরনের বয়কটের আহবান জানানো হচ্ছে। আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ সৌদি আরবে ফরাসি সুপারমার্কেট চেইন শপ ‘ক্যাফৌউ’ বয়কট করা নিয়ে হ্যাশট্যাগ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ট্রেন্ডিং ইস্যু হিসেবে উঠে এসেছে। এদিকে, লিবিয়া, গাজা এবং উত্তর সিরিয়ার তুরস্ক সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ফরাসি বিরোধী ছোট ছোট বিক্ষোভও হয়েছে।