সরলপুর ব্যান্ড সদস্যদের আচরণে কষ্ট পেয়েছি: চঞ্চল চৌধুরী

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী  © ফাইল ফটো

জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের গাওয়া ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ গানটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। গানটি গেয়ে প্রশংসিত হলেও সমালোচনা শুনতে হয়েছে বিভিন্ন মহলে। কিন্তু ‘সরলপুর’ নামের একটি ব্যান্ড এই গানের কপিরাইট তাদের দাবি করার পরই শুরু হয় জটিলতা।

আলোচিত এই গানটি ব্যান্ড ‘সরলপুর’র অভিযোগ গানটি তাদের। আর নানা আপত্তির মুখে ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলতে হয়েছে চঞ্চল ও শাওনের গাওয়া ভাইরাল হওয়া এই গানটি। এরই মধ্যে ব্যান্ড সদস্যদের এমন আচরণে কষ্ট পেয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।

এ বিষয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের লোকগানের পদরচয়িতা কে বা কারা, তা জানা যায় না। লোকমুখে শুনতে শুনতে একটা পর্যায়ে এসেছে। ঐতিহ্যবাহী পদগুলো আমাদের সংস্কৃতির বিশাল শক্তি। এটাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। চুরি-ডাকাতি করে নিজের দখলে নেওয়া, আমি করেছি কিংবা লিখেছি, এমন ভাব দেখানো মোটেও উচিত না।

তিনি আরো বলেন, ‘চাইলেই কোনো মানুষ এই ধরনের পদ লিখতে পারে না! এই ধরনের পদ, একটু কারেকশন করে আমার বলা খুবই অন্যায়। এ রকম অসংখ্য গান, কবিতা ছোটবেলায় প্রচুর শুনেছি। সবার মুখে মুখে ছড়িয়েও আছে। কেউ যদি ব্যক্তিগত ফায়দার জন্য নিজের বলে চালিয়ে দেয়, তাহলে সেটা খুবই দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, ‘বেশি কষ্ট পেয়েছি, আমরা সবাই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করছি। তারাও শিল্পী, গান গায়; আমরাও টুকটাক গান করি। আলোচনার মাধ্যমে তাদের ক্রেডিট দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা অসম্মতি জানিয়েছে। এখন তো অবস্থা যা দেখছি, এই ক্রেডিট তাদের মোটেও প্রাপ্তি না। এটা তারা কপিরাইট করিয়েছে, কেমনে করেছে সেটা পরের কথা। ইউটিউব থেকে মুছে না দিয়ে আলোচনায় বসতে পারত।’

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমি ও শাওন শুধু গানটি গেয়েছি। এই গানের মালিক আমরা নই। গানটির মেধাস্বত্ব দাবি করেছে সরলপুর ব্যান্ড। তাদের কথায় যতটুকু জানতে পেরেছি, ২০০৮ সালে বকশীগঞ্জের এক সাধুর কাছ থেকে তারা গানটির ৩০ শতাংশ পেয়েছে। আর বাকি ৭০ শতাংশ তারা নিজেরা লিখেছে। আমার প্রশ্ন? একটি প্রচলিত গানের সঙ্গে যদি নিজেদের কথা যুক্ত করা হয়, তাহলে কি পুরো গানটি তাদের হয়ে যায়? ১০০ ভাগ মৌলিক না হলে কি নিজেদের বলে দাবি করা যায়?’

তার মতে, যে আইনে তাদের দোষ দেয়া হচ্ছে ওই একই আইনে সরলপুর ব্যান্ডদলও দোষী। কারণ গানটি সরলপুর ব্যান্ডের মৌলিক সৃষ্টি নয়। এটি বহু বছর আগের প্রচলিত একটি গান। সরলপুরের গানটির বেশিরভাগই লাইন মধ্যযুগের কবি দ্বিজ কানাইয়ের লেখা মৈমনসিংহ গীতিকার মহুয়া গানের পদের মতো।


সর্বশেষ সংবাদ