করোনার প্রকোপ কমলেই সিএএ কার্যকরের ইঙ্গিত বিজেপি সভাপতির

জেপি নাড্ডা
জেপি নাড্ডা  © ফাইল ফটো

ভারতে করোনার প্রকোপ কমলেই কার্যকর হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এ ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বিজেপি আয়োজিত এক সভায় এ ঘোষণা দেন নাড্ডা।

তিনি বলেন ‘করোনা সংকটের কারণে নতুন নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার প্রক্রিয়া থেমে আছে। এই পরিস্থিতি কেটে গেলেই এই আইন অনুযায়ী নাগরিকত্ব তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া চালু করে দেওয়া হবে। তবে এনিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের কেউই বঞ্চিত হবেন না।’

আগামী ছয় মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে দলের সাংগঠনিক শক্তি খতিয়ে দেখতেই বুধবার দুপুরের দিকে সংক্ষিপ্ত সফরে আসেন বিজেপি সভাপতি। কিন্তু বিজেপি যে নাগরিকত্ব আইনকেই আসন্ন নির্বাচনে প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার করতে চলেছে তা এদিন স্পষ্ট করে দিলেন নাড্ডা।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভায় পাশ হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল। রাজ্যসভায় তা পাশ হয় ১১ ডিসেম্বর। ১২ ডিসেম্বর ওই বিলে স্বাক্ষর করেন দেশটির রাষ্ট্রপতি। এরপর তা আইনে পরিণত হয়। নতুন ওই আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে অত্যাচাািরত হয়ে আসা অ-মুসলিম (হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্সি, জৈন) মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করে কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টির মতো রাজনৈতিক দলগুলো। নতুন ওই নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগ, কলকাতার পার্ক সার্কাস সহ একাধিক জায়গায় সহিংস আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। তাতে যেমন একাধিক মানুষের মৃত্যু হয় তেমনি বহু সরকারি সম্পত্তিও নষ্ট হয়।

এর আগে গত আগস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয়ের তরফে জানানো হয় যে সিএএ বিধি প্রণয়নের জন্য আরও অতিরিক্ত তিন মাসের সময় প্রয়োজন। সংসদের অধীনস্থ আইন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কাছে মন্ত্রণালয়ের তরফে এই অতিরিক্ত তিন মাস সময় চেয়ে আর্জি জানানো হয়।

সংসদীয় বিধি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর ৬ মাসের মধ্যে বিধি প্রণয়ন করতে হয় সরকারকে। আইন কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তা ঠিক হয় বিধি প্রণয়নের মাধ্যমেই। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত ৬ মাস সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট দপ্তর বিধি প্রণয়ন না করতে পারলে তারা সংসদের স্থায়ী কমিটির কাছে সর্বোচ্চ তিন মাস সময় বৃদ্ধির জন্য আর্জি জানাতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ