বাবরি ধ্বংস ‘পরিকল্পিত নয়,’ ৩২ অভিযুক্তের সবাই খালাস

রামভক্তদের হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন বাবরি মসজিদ
রামভক্তদের হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন বাবরি মসজিদ  © সংগৃহীত

২৮ বছর পর বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় হয়েছে। বুধবার লখনউয়ের বিশেষ আদালতে রায় পড়েছেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। রায়ে সব অভিযুক্তকে খালাস ঘোষণা করেছে আদালত। বিচারকের মতে, এই ধ্বংসলীলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। তথ্যপ্রমাণও যথেষ্ট নয় বলে জানায় আদালত। ফলে সব অভিযুক্তকে সমম্মানে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় প্রায় ২০০০ পাতার। ২ সেপ্টেম্বর শুরু হয় রায় লেখার কাজ। বুধবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে সেই রায় পড়তে শুরু করেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় আদালত পৌঁছান বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব।

এসময় মোট ২৬ জন অভিযুক্ত যোগ দেন এজলাসে। তবে বয়সজনিত কারণে আসতে পারেননি লালকৃষ্ণ আডবানী ও মুরলিমনোহর জোশি। তাঁরা যোগ দেন ভিডিও কনফারেন্সে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে আসতে পারেননি উমা ভারতী। আসেননি মোহান্ত নৃত্যগোপাল দাসও। এদিন অভিযুক্ত, সিবিআইয়ের আইনজীবী এবং তাঁদের আইনজীবী ছাড়া কারও প্রবেশাধিকার ছিল না আদালত চত্বরে।

বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব বলেন, বাবরি-মামলায় সব অভিযুক্ত সবাইকে খালাস দেয়া হয়েছে। ৩২ জন অভিযুক্তই বেকসুর খালাস পেয়েছেন। এটি আদালতের রায়। বাবরী মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল না। আচমকা ঘটেছে এই ঘটনা

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের ঘটনা। রামভক্তদের হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন বাবরি মসজিদ। সেখান থেকে শুরু হয় জাতি বিদ্বেষ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত হন ১,৮০০ জন। ২৮ বছর পর বুধবার মসজিদ ধ্বংসের মামলার রায় ঘোষণা করল লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। ওই মামলায় মোট ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৭ জন মারা গিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ