বাবরি মসজিদ ধ্বংসে দায়ী কারা, জানা যাবে আজ

বাবরি মসজিদ
বাবরি মসজিদ  © ডয়েচে ভেলে

১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রায় আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করবে লখনউয়ের বিশেষ আদালত। দীর্ঘ ২৮ বছর পর বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, কল্যাণ সিং, উমা ভারতী সহ ৩২ জন। লখনউয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব এই রায় দেবেন।

ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আগে আদালতের নির্দেশ ছিল আডবাণী, জোশী, কল্যাণ সিং, উমা ভারতীদের সশরীরে আদালত কক্ষে হাজির থাকতে হবে। কিন্তু বয়সের কথা ভেবে নব্বই পার হয়ে যাওয়া আডবাণী ও ৮৬ বছর বয়সী মুরলী মনোহর জোশী জানিয়েছেন, তাঁরা আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

আর উমা ভারতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে এইমসে ভর্তি। কল্যাণ সিং-ও অসুস্থ। তাঁরা কেউই আদালতে থাকবেন না। তবে আডবাণী, জোশী, কল্যাণ সিংয়ের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, তাঁরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরা দিতে পারেন। বাকিরা আদালতে হাজির থাকবেন।

রামায়ণ-খ্যাত অযোধ্যা শহর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ফৈজাবাদ জেলায় অবস্থিত। তারই কাছে রামকোট পর্বত। ১৫২৮ সালে সেখানে সম্রাট বাবরের আদেশে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়, যে কারণে জনমুখে মসজিদটির নামও হয়ে যায় বাবরি মসজিদ। আবার এ-ও শোনা যায়, গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকের আগে এই মসজিদ ‘মসজিদ-ই-জন্মস্থান' বলেও পরিচিত ছিল।

বাবরি মসজিদ যখন ভাঙা হয়, তখন কল্যাণ সিং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। আডবাণী, জোশী ও উমা ভারতী ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় ছিলেন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা বাবরি মসজিদ ভাঙার চক্রান্ত করেছিলেন এবং দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদের চেষ্টা করেছিলেন। বাবরি মসজিদ ভাঙার পর দাঙ্গায় সারা দেশে প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন।

উমা ভারতী ইতিমধ্যে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে জেলে যেতে হলে তিনি জামিনের আবেদন করবেন না। লখনউয়ের আদালতকক্ষে প্রবল নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ও তাঁদের আইনজীবী ছাড়া কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। রায় যাই হোক না কেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী হতে বাধ্য বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।


সর্বশেষ সংবাদ