নুরের পক্ষে অবস্থান, আহ! ড. কামাল আর জাফরুল্লাহ!
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৩৯ PM , আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৫৭ PM
বরাবরের মতো দেশের এই দুই বয়স্ক নাগরিক ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে নেমেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ নিয়ে- ড. কামাল হোসেন বলেছেন, তিনি অভিযুক্ত নুরুর পক্ষে আইনী লড়াই করবেন আর জাফর উল্লাহ বলেছেন, নুরকে হয়রানি করা হচ্ছে।
একটা লোক খুন হলে খুনের সাথে একাধিক মানুষ জড়িত থাকলে তাদের যার যতোটুকু সম্পৃক্ততা সেই অনুযায়ী সাজা হয়। কেউ ভিক্টিমের হাত বেধেছে, কেউ রশি এনেছে, কেউ গলায় ছুরি চালিয়েছে। কেউ কলকাঠি নেড়েছে কিংবা অপরাধীদের সেল্টার দিয়েছে। বিচার হয় যার যতোটুকু ভূমিকা সে অনুযায়ী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নুরের সংগঠনের এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মেয়েটা সংগঠনের কাছে বিচার না পেয়ে কয়েকজনকে আসামী করে মামলা করেছে। সে কোথাও বলেনি, এরা সবাই তাকে ধর্ষণ করেছে।
তদন্ত করে যার যতটুকু ভূমিকা থাকবে তার সেই ভূমিকার বিচার হবে। কিন্তু তদন্তের আগে কামাল হোসেন কেন নুরকে আইনী সহায়তা দিতে চাইছেন? অভিযোগ তো নুরের সংগঠন থেকে এসেছে । আচ্ছা, অভিযোগকারী যদি প্রভাশালী কেউ হতো অথবা অভিযোগকারী যদি কামাল হোসেন এর মেয়ে হতেন ? উনি কি এমন ঘোষণা দিতেন ?
জাফর উল্লাহ বলছেন, নুরুকে হয়রানি করা হচ্ছে। মামলা তো সরকার করেনি, ছাত্রলীগ করেনি নুরের সংগঠন এর নেত্রী করেছে। উনি জানেন না- কাল কেউ এসে যদি থানায় মামলা দিয়ে বলে, কিছু বখাটে জাফর উল্লাহর স্ত্রীকে উত্যক্ত করে- পুলিশ মামলা নিবে। তদন্ত করবে, কেউ অভিযুক্ত হলে বিচার করবে।
কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত যদি নুরু হয় তাহলে, অভিযুক্ত যদি ভাইবার মান্না হয়-তাহলে তার বিচার করা যাবে না। কামাল হোসেন তাকে আইনী সহায়তা দেবে, জাফর উল্লাহ অভিযোগ করবে- হয়রানী করা হচ্ছে ।
একটা মেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলছে আর দেশের দুই বয়স্ক নাগরিক নুরুর গংকে বাহবা পেতে পানি ঘোলা করছে, ওনারা এতো দেউলিয়া হয়েছে- জানা ছিলো না।
স্বীকার করি, বাংলাদেশের অনেক নারী নির্যাতনের পরও আইনী লড়াই করতে পারেন না,কামাল হোসেন তাদের পাশে যান। সরকারও এই অপরাধ এর বিচার করবে, অতীতে ও এমন অপরাধ করে কেউ মাফ পায়নি। কামাল হোসেন, আপনার মানবাধিকার কর্মী মেয়েকেই বলুন, নুরুদের যে কর্মী বিচার চেয়ে পথে নেমেছে- তার পাশে দাড়াতে। সবকিছু নিয়ে রাজনীতি কইরেন না।
ধর্ষিতা বলেছে, জনপ্রিয়তা দিয়ে অভিযুক্তরা মাফ পেয়ে পেতে চাইছে। কি সাংঘাতিক।
একটা মেয়েকে ধর্ষন করবে- তা চেপে রাখতে চাইবে- হুমকি দেবে কিন্তু তারজন্য বিচার করা যাবে না, কারন এরা দুই তিনশো লোক নিয়ে মিছিল করার ক্ষমতা রাখে। আর রাজনৈতিক দেউলিয়া সিনিয়র সিটিজেনরাও সেই মিছিলের দিকে তাকিয়ে অপরাধ- নিরাপরাধ ঠিক করে দেন, পক্ষ নেন।
সরকারের বিরোধিতা করতে হয় করেন । কিন্তু ধর্ষণকারীদের পক্ষ নিবেন সরকারকে বিতর্কিত করতে? লজ্জা লাগবে না? আপনাদের তো বর্ণাঢ্য একটা অতীত আছে।
শেখ হাসিনার সরকার মিছিলে লোক দেখে অপরাধ এর বিচার করবে না। যে অপরাধী তারই ভূমিকা অনুযায়ী সাজা হবে। তার দল- অন্য দল এসব এই সরকার দেখে না। কামাল হোসেন, ডাক্তার জাফর উল্লাহদের এটা মনে রাখতে হবে। [আশরাফুল আলম খোকনের ফেসবুক থেকে]