এবার চাল নিয়ে ভারত-পাকিস্তান বিরোধ

চাল
চাল  © ফাইল ফটো

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ এটা নতুন কিছু নয়। এবার দেশ দুটিতে বাসমতি চাল নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে। দুই পক্ষই আলাদা করে দাবি করেছে এ চাল তাদের পণ্য। সম্প্রতি বাসমতি চালকে 'ভারতীয় পণ্য' হিসেবে ঘোষণা দিতে নয়াদিল্লি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আবেদ করে। আবেদনের পরই এই বিরোধ তৈরি হয়েছে।

ইসলামাবাদ বলছে, এ চাল শুধু ভারতে নয়, পাকিস্তানেও উৎপাদিত হয়। ফলে বাসমতি চালকে শুধু ভারতীয় পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত হবে না বলে জানায় দেশটি। তারা ভারতের আবেদনের বিরুদ্ধে পাল্টা আবেদনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে।

কোনও পণ্যের উৎস, উৎপত্তি, চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন আইনটিতে নিশ্চিত করা হয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলোকে ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য এই আইনটিকে মেনে চলতে হয়।

পাকিস্তান ও ভারত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাসমতি চালের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক। তারা  এই জোটের দেশগুলোর কাছে প্রচুর পরিমাণে বাসমতি চাল রফতানি করে থাকে। ভারত সরকার সম্প্রতি বাসমতি চালের জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা জিআই ট্যাগের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আবেদন করেছে।

গত ১১ই সেপ্টেম্বর ইইউ-এর অফিসিয়াল জার্নালে ভারতের এই আবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। এই আবেদনে দাবি করা হয়, বাসমতি চাল ভারতীয় উপমহাদেশের একেবারে স্বতন্ত্র একটি চাল। আকারে এটি লম্বাটে। অনন্য স্বাদ ও সুগন্ধের কারণে সারা বিশ্বে ভারতীয় এই চালের সুখ্যাতি রয়েছে।

এদিকে পাকিস্তান মনে করে ভারতের এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হয়নি। কারণ এই চাল শুধু ভারতে নয়, পাকিস্তানেও উৎপাদিত হয়। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির, বালুচিস্তান এবং পাঞ্জাবে উৎপাদিত বাসমতি চালের খ্যাতি রয়েছে ইউরোপের বাজারে।

দিল্লিকে জিআই ট্যাগ দেওয়া হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পাকিস্তানের বাসমতি চাল রফতানি বাজারে বড় ধরনের ধ্স নামবে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে। তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এজন্য ভারতীয় আবেদনের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ