সেফটিপিনের চেইন তৈরি করে গিনেস বুকে বাংলাদেশি পার্থ
সোনালি রঙের সেফটি পিন দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ চেইন তৈরি করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখালেন বাংলাদেশি ছেলে পার্থ চন্দ্র দেব। ২০১৮ সালে করা ভারতীয় হার্শা নান ও নাভার রেকর্ডটি ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়লেন পার্থ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডাকযোগে তাঁর কাছে স্বীকৃতির সনদ এসে পৌঁছায়।
এই চেইনের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৪০১ দশমিক ৮৩ মিটার বা ৭ হাজার ৮৮০ ফুট শূন্য দশমিক ২ ইঞ্চি। স্থানীয় শ্রীশ্রী পাগল শংকর মন্দিরে (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় অবস্থিত) এই চেইন পরিমাপ করা হয়।
পার্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামের প্রয়াত জগদীশ দেবের ছোট ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে বিএসএস (ডিগ্রি) শেষ বর্ষের ছাত্র। পাশাপাশি তিনি হবিগঞ্জের সাঙ্গবেদ সংস্কৃতি কলেজর ব্যাকরণতীর্থ ও স্মৃতিতীর্থ (আদ্য) বিভাগে পড়াশোনা করছেন।
গত বছরের ২০ এপ্রিল পার্থ চন্দ্র দেব সেফটি পিনের দীর্ঘতম চেইন তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করেন। অনুমতি পাওয়ার পর গত বছরের ২৩ জুলাই থেকে টানা ৪৫ দিন সেফটি পিন দিয়ে চেইন তৈরির কাজ করেছেন পার্থ।
এ বিষয়ে পার্থ বলেন, ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ঘেঁটে দেখেছি। ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল ভারতের হার্শা নান ও নাভা নান যৌথভাবে সেফটি পিন দিয়ে সবচেয়ে দীর্ঘতম চেইন তৈরির রেকর্ড গড়েছিলেন। তাঁদের চেইনটির দৈর্ঘ্য ছিল ১ হাজার ৭৩৩ দশমিক ১ মিটার। তাই দোকানের ছোট ছোট ২ সেন্টিমিটার আকারের সোনালি রঙের সেফটি পিন দিয়ে সবচেয়ে বড় চেইন তৈরির পরিকল্পনা করি। ২০১৯ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিবন্ধিত হই। ওই বছরের ২০ এপ্রিল আবেদন করি। গত বছরের ১৯ জুলাই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ আমাকে চেইন তৈরির অনুমতি ও পরামর্শ দেয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস প্রাপ্তিতে দুইজনকে সাক্ষী রাখতে হয়েছে। আর চেইন পরিমাপের জন্য ছিলেন একজন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সার্ভেয়ারও। সব মিলিয়ে ১৪ ধরনের প্রমাণ জমা দিতে হয়েছে। গত বছরের ২৩ জুলাই থেকে কাজ শুরু করি। ১৩ হাজার ৩৭০ টাকায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮২৩টি সোনালি রঙের দুই সেন্টিমিটার আকারের সোনালি রঙের সেফটি পিন কিনে চেইন তৈরির কাজ শুরু করি। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা কাজ করি। এতে তাঁর সময় লাগে ২৪১ ঘণ্টা ৪২ মিনিট।’