১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:৫১

বিএম কলেজে কর্মচারীকে হত্যাচেষ্টা: ৭২ ঘন্টায়ও হামলাকারী শনাক্ত হয়নি

  © ফাইল ফটো

বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগে অফিস চলাকালীন সময়ে বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান বাচ্চু কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ৭২ ঘন্টা পরও কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ দাবি, সব ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এ ঘটনায় ভয়াবহ তান্ডব চালানোর পর ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের কম্পিউটার ভেঙ্গে ফেলেছে তাই শনাক্তকরণে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে হামলার প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছে, মুখোশধারীদের বয়স ১৯ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তারা কলেজ ক্যাম্পাসের আশেপাশের বাসিন্দা।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত মিজানুর রহমান বাচ্চু শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, ভয়ের কিছু না থাকলেও তার শারীরীক অবস্থা খুব ভালো নয়। মারধরে মাংসপেশীর ভেতরে গভীর ক্ষত করেছে। তাছাড়া অস্ত্রের আঘাতের স্থানগুলোও গুরুত্বর।

এ ঘটনায় সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রধান আবদুস সবুর বলেন, কি কারনে যে এই ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে তা আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারিনি। ২০-২৫ জন হামলাকারী ধারালো অস্ত্র ও রড ঢুকেই মিজানুর রহমানের মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে। পরে তারা দ্বিতীয় তলায় উঠে মিজানুরকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। সব দেখে মনে হলো, কোন একটা আক্রোশ হামলাকারীদের মধ্যে রয়েছে। হামলাকারীরা শুধু মিজানুরকে আহত করেনি পুরো সমাজ কল্যান বিভাগে তান্ডব চালিয়েছে।

এ ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানা পুলিশের এসআই প্রলয় কান্তি সাহা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করছি। সমাজকল্যান ডিপার্টমেন্টের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ নিয়ে গেলেই যে কলেজের সকল সিসি ক্যামেরা ফুটেজ থাকবে না তা কিন্তু নয়। হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ ছিল এবং ঘটনাটি দিনে ঘটেছে। সেকারনে যেকোন মাধ্যমেই তাদের শনাক্ত করা যাবে। আশাকরি দ্রুতই হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সরকারি ব্রজমোহন কলেজে সশস্ত্র হামলা চালায় ২০/২৫ জনের একটি তরুণ দল। অস্ত্রধারী ওই দলটি একজন সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মস্থলে কেন কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা চালাবেন তা এখনো ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।