নোয়াখালী থেকে আসা অপুর শুরুটা হয়েছিল সেলুনে!
চীনা ভিডিও অ্যাপ টিকটকে পরিচিত মুখ। সবাই যাকে ‘অপু ভাই’ বলেই চেনে। কথিত এই তারকার আসল নাম ইয়াসিন আরাফাত অপু। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি। ঢাকায় এসে মূলত সেলুনে কাজ করার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন বলে একটি সূত্রের দাবি। সেখান থেকেই পরবর্তীতে লাইকি অ্যাপের মাধ্যমে সারাদেশের একটি প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এই কিশোর। সোশ্যাল মিডিয়া লাইকিতে রঙিন চুলে ছোট ভিডিও করে বেশ পরিচিতি লাভ করেন অপু। টিকটকে তাকে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ ফলো করেন।
নজরুল নামে একজন জানিয়েছেন, ‘নোয়াখালীর বার্বার শপে কাজ করা অপু তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন লাইকি ও টিকটকে। অপুর উইয়ার্ড হাসি, ক্রিপি হেয়ারস্টাইল ও অদ্ভুত সব ডায়ালগের জন্য এই তরুণকে মূলত রোস্ট করতে করতে বিখ্যাত বানিয়েছে ইউটিউবাররা।
অন্য একটি সূত্র জানায়, অপু ঢাকার আশকোনায় থাকতো। সেলুনে সময় ব্যয় করতো চুল রঙ করার পেছনে।
আর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজিজুল ইসলাম জানান, অপুর বাড়ি নোয়াখালীতেই। ঢাকায় সে দক্ষিণখান এলাকায় থাকত।
জানা যায়, লাইকি অ্যাপে তাকে অনুসরণ করে প্রায় ১০ লাখ। ইনস্টাগ্রামেও তার অনুসারী ছিল। কিন্তু সাম্প্রতি প্রিন্স মামুন নামের আরেক ‘লাইকি তারকা’র অনুসারীরা সেই ইন্সটাগ্রাম আইডি রিপোর্ট দিয়ে মুছে ফেলে। প্রিন্স মামুনকে কিছুদিন আগেই দিয়াবাড়িতে মারধর করে কিছু তরুণ। অপু ভাইয়ের অনুসারীরাই মারধর করেছে বলে অনুমান করে গুলিস্তানের একটি মার্কেটে অপু ভাই দুই গ্রুপের মারামারি হয়।
এদিকে বিতর্কিত টিকটকার ‘অপু ভাই’ ও মামুনসহ কয়েকজনের আইডি ব্যান করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ‘সাইবার-৭১’ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। এ বিষয়ে সাইবার-৭১ পরিচালক আবদুল্লাহ আল জাবের হৃদয় জানান, অপু-মামুনসহ বিকৃত ভিডিও প্রস্তুতকারীদের বিষয়ে টিকটকের আঞ্চলিক প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে। অপু- মামুনের আইডি শিগগিরই ব্যান করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে টিকটকের অফিসিয়াল পেজেও ঘোষণা দেয়া হবে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ অপুকে গ্রেফতার করার পর উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়। এ সময় পুলিশের সামনে তার চুল ধরে টানাটানিসহ মারপিট করতে থাকেন তারা। পুলিশ দ্রুত তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।