রাম মন্দির নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ: দাবি ভারতীয় মিডিয়ার

ভারতের অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ আগামী ৫ আগস্ট মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

এদিকে ভারতের একাধিক সংবাদ মাধ্যমের দাবি- ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থলে রাম মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে রীতিমত হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন। আর বাংলাদেশ রাম মন্দির নির্মাণে ঘোর বিরোধিতা করছে।

বিষয়টি নিয়ে গতকাল দেশটির প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা ‘রামমন্দির ঘিরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় দেখছে বাংলাদেশ?’ একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে এবং ‘অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ঠিক আগে ভারতকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিল বাংলাদেশ’ শিরোনামে নিউজ১৮ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এছাড়াও নিউজ১৮ এবং দ্যা হিন্দুর ইংরেজিতেও একই বিষয়ে এমন প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে।

আনন্দবাজার, নিউজ১৮ ও দ্য হিন্দুর প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রাম মন্দির নির্মাণের উদ্যোগের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া উচিত নয়, যা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্কে আঘাত করতে পারে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বক্তব্যও তুলে ধরেছে দ্য হিন্দু। তাদের প্রতিবেদনে তিনি (আব্দুল মোমেন) বলেন, ‘আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আঘাত হানতে এই বিষয়টি (রাম মন্দির নির্মাণ) অনুমোদন করব না। তবু আমি এখনও ভারতের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এমন কিছু যেন না-করে, যাতে ভারত-বাংলাদেশের সুন্দর বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। দু’পক্ষেরই উচিত কোনও রকম বিবাদ ও বিতর্ক হয়, এমন কাজ থেকে বিরত থাকা।'

তবে সম্প্রতি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেলিফোনে কথা হয়েছে। তা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক উড়িয়ে দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, একেবারেই সৌজন্যমূলক কথা হয়েছে। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে করোনাভাইরাস মহামারী নিয়ে কথা হয়েছে। তবে ইমরান খান কাশ্মীর প্রসঙ্গে তুলেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ সে বিষয়ে চুপ ছিল। কোনও কথা বলেনি।