আত্মহত্যা করলে আমি সিভিল সার্ভিসে ২৮তম হতে পারতাম?
জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় অকৃতকার্য। এর পরই মর্মান্তিক পরিণতি। এমন ঘটনা এখন অনেক শোনা যায়। অনেকে নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিতে পারছে না। ফলে অল্প বয়সেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছে। সত্যিই কি মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হলে জীবনে সব পথ বন্ধ হয়ে যায়!
জীবনের আসল লড়াই বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়েই লড়তে হয়? এই সহজ সত্যিটাই কি তারা বুঝতে পারছে না? নাকি বড়রা সঠিক লক্ষ্য দেখাতে পারছে না তাদেরকে? সম্প্রতি ভারতে মাধ্যমিক, আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের ফল প্রকাশ পেয়েছে। কেউ দারুণ নম্বর পেয়েছে। কারও নম্বর ভালো নয়, অকৃতকার্যও হয়েছে। তাদের আরও একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে।
এই সময়টাতে মেধাবীদের সাক্ষাৎকারের ছড়াছড়ি হলেও অকৃতকার্যদের খেয়াল রাখছে না কেউ। ফলে তাদের মধ্যে সবার অজান্তেই হতাশা জমা হচ্ছে। ফল হচ্ছে ভয়ঙ্কর। তাদের অনুপ্রেরণা দিতে এবার এগিয়ে এলেন ভারতের এক আইএএস অফিসার, যা বাংলাদেশের বিসিএসের মতোই।
পরীক্ষার ফলাফলের মৌসুমে তিনি নিজের পুরনো মার্কশিট শেয়ার করেছেন। সেই মার্কশিটের ছবি ইতোমধ্যে ভাইরাল। আইএএস অফিসার হয়েও তিনিই কি না সিবিএসএই-তে রসায়নে ২৪ নম্বর পেয়েছিলেন!
নীতিন সাংওয়ান নামের ওই আইএএস অফিসার লিখেছেন, দেখুন আমার টুয়েলভের রেজাল্ট। কেমিস্ট্রিতে ২৪ পেয়েছিলাম। মাত্র এক নম্বর বেশি পেয়ে পাস করি। কিন্তু তা আমি জীবনে কী হতে চাই সেটা নির্ণয় করে দেয়নি। হতাশায় ডুবে যেও না বাচ্চারা। নম্বরের বোঝা নিয়ে ভেব না, জীবনটা বোর্ড রেজাল্টের থেকে অনেক বড়।