পাহাড়ে বসে অনলাইন ক্লাস করছে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা

রাশিদ কামিল পাহাড়ে উঠে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হয়েছেন
রাশিদ কামিল পাহাড়ে উঠে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হয়েছেন

পাকিস্তানের পার্বত্য গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পাহাড়ের চূড়ায় বসে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন। শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ পেতে তারা বাসা থেকে এখানে চলে এসেছেন। এদিকে এ অঞ্চলটিতে দ্রুত গতির ইন্টারনেট দাবি করে শিক্ষার্থীরা সামাজিকমাধ্যমে #Internet4GilgitBaltistan আন্দোলন শুরু করেছেন।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা যাতে করে সহজে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পারে সেজন্য স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগের দাবি করেছেন অনলাইন আন্দোলনকারীরা। বিষয়টি সমাধান করতে আন্দোলনকারীরা পাকিস্তানের উচ্চশিক্ষা কমিশনের পাশাপাশি বিশেষ যোগাযোগ সংস্থা (এসসিও) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাশিদ কামিল নামে এক শিক্ষার্থী প্রত্যন্ত উপত্যকায় একটি বই এবং একটি ল্যাপটপের সাথে নিজের ছবি শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লিখেছেন,  অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে আমাকে প্রতিদিন কয়েক কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়। আমি আমার কুইজ, কাগজপত্র এবং অ্যাসাইনমেন্ট আপলোড করার সময় অনেকবার নেট সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলাম। এসসিও এ অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

শেহনাজ ইউসুফ নামে এক ব্যবহারকারী পর্বতে অধ্যয়নরত দুই শিক্ষার্থীর ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, আমি তাদের এখানে পড়াশোনা করতে দেখেছি। তাদের একজন হুঞ্জা মডেল স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর উরোজ এবং অন্যজন একেএইচএসএস আগা খান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী হাসিবা।

দেখুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছে পাকিস্তান

আরেকজন ব্যবহারকারী আয়াজ বার্চা। তিনি স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগের জন্য যেসব শিক্ষার্থীদের পাহাড়ে উঠতে হয় তাদের অসুবিধার কথা তুলে ধরে লিখেছেন, শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে এই উচ্চতায় হেঁটে উঠার বাস্তবতা কল্পনা করুন। তিনি বলেন, আমারা শিক্ষার্থীরা পর্বতারোহী নই।

পাকিস্তানের অ্যাডভোকেসি সংস্থা ডিজিটাল রাইটস ফাউন্ডেশনও বিষয়টি সমাধানের দাবি জানিয়েছে। তারা বলছে, পাকিস্তান জুড়ে শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে স্থানান্তরিত হওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। সবাই অনলাইন মুখি হওয়া পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট সংযোগ কম পাচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ