টরন্টোয় প্রাক্তন খুবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু
কানাডার টরন্টোয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থীর ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম নয়ন দাস। তিনি টরন্টোর স্কারবরো এলাকার একটি বাড়িতে কয়েকজনের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন।
গত বুধবার ওই ভাড়াবাড়ি থেকে নয়নের লাশ উদ্ধার করে টরন্টো পুলিশ। তাঁর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। বিষয়টি তারা তদন্ত করছে।
জানা গেছে, নয়নের বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার বাধাল গ্রামে। এই গ্রামের সঞ্জীবন দাস ও পূর্ণিমা রানী দাসের বড় ছেলে নয়ন। নয়নের স্ত্রী সুস্মিতা ভৌমিক। বিয়ের মাস চারেক পরে ২০১৮ সালে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় পড়তে আসেন নয়ন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
নয়নের ছোট ভাই চয়ন দাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভাইয়ের মৃত্যুতে আমাদের পরিবারের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। মধ্যবিত্ত পরিবার একটা স্বপ্ন নিয়ে বাঁচে। আমাদের স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন আমি চাই, আমার ভাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসুক।’
এ বিষয়ে টরন্টোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নয়নের অকালমৃত্যুতে আমরা খুবই মর্মাহত। আমরা ফোন করে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি। তাঁর পরিবারের পাশে আমরা আছি। পুলিশকে তাঁর মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘তদন্তের পর নয়নের মৃতদেহ দেশে পাঠানো হবে, না এখানে সৎকারের ব্যবস্থা করা হবে, তা পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর নির্ধারণ করা হবে।’
নয়নের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইতিমধ্যে কনসাল জেনারেল অব বাংলাদেশ ইন টরন্টো অফিসকে বিষয়টি অবহিত করেছে স্থানীয় পুলিশ। নিহত নয়নের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুতে কানাডায় বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যে শোক নেমে এসেছে। তাঁরা চাইছেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই তরুণের মৃত্যুর কারণ বের হয়ে আসুক।