১৯ জুন ২০২০, ১২:২০

৭৪ নম্বর জার্সি পরে খেলার কারণ বললেন সাইফউদ্দিন

  © ফাইল ফটো

ক্রিকেটে আমরা যে খেলোয়াড়দের পিছনে জার্সি নাম্বার দেখি তা প্রচলন খুব বেশি দিনের না। জার্সি নাম্বারে এমন কিছু বুঝার উপায় নেই কিন্তু হয়তো এই সংখ্যার আড়ালে জড়িয়ে থাকে নানা গল্প। এর আগে বাংলাদেশ দলের দুই তরুণ তুর্কি লিটন দাস আর সৌম্য সরকারের জার্সির সংখ্যার পিছনে এমন বেশ মজার গল্প শুনলেও আরেক গল্পে এবার যুক্ত হচ্ছে জাতীয় দলের আরেক অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জাতীয় দলে তার জার্সি নম্বর ‘৭৪’ অন্যদিকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ৭৫। জাতীয় দলে অভিষেকের আগে যুবদলে (অনূর্ধ্ব-১৯) মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ঐ ৭৫ নম্বর জার্সি পরেই খেলতেন। আর সেটা সাকিব আল হাসান ৭৫ নম্বর জার্সি পড়ে খেলেন, সে কারণেই।

একদিকে যেমন সাকিব তার পছন্দের খেলোয়াড় ঠিক একিভাবে তার জার্সি নাম্বার ৭৫ টাও। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর ঠিক আগে যখন জার্সি নম্বর ঠিক করা হচ্ছিল, তখন স্বপ্নের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে হওয়া একটি কথোপকথনের স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়ান সাইফউদ্দিন।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইউটিউব লাইভে এক সাক্ষাৎকারে তার নিজের ৭৪ নম্বর জার্সি গায়ে চাপানোর গল্পটা শেয়ার করেন জাতীয় দলের এই তারকা অলরাউন্ডার।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সাকিব ভাই হলেন আমার প্রিয় ক্রিকেটার। আমি তার খুব বড় ফ্যান। আমি যখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলতাম, তখন ৭৫ নম্বর জার্সি গায়ে দিয়ে খেলতাম। ২০১৭ সালে মাশরাফি ভাই যখন শ্রীলঙ্কা সফরে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টানেন, ঐ সফরেই আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। আমি কত নম্বর জার্সি গায়ে দেব তা নিয়ে কথা হচ্ছিল। সাকিব ভাই এসে বললেন-কি, ৭৫ নম্বর জার্সি নিবা নাকি? নাহ, আরও ৫-৬ বছর আমি খেলি, তারপর নিও। তখন আমি বলি- না ভাই, এখনই ৭৫ নম্বর জার্সির ওজন ও ভার আমি বহন করতে পারবো না। আমি বরং আপনার পাশে থাকি। তাই ৭৪ নম্বর জার্সি বেছে নেওয়া।’

এছাড়া সাকিব আল হাসানের সাথে তার আরও একটি বড় স্মৃতি আছে, সেটা ২০১০ সালের ঘটনা। সাইফউদ্দিন তখন কিশোর। খেলেন অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে। সেই দলের এক ট্রেনিং সেশনে সাকিব অনুজপ্রতিম ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করতে গিয়েছিলেন অতিথি বক্তা হয়ে। সেদিনের সে কিশোর সাইফউদ্দিন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের কথা শুনেছিলেন মন্ত্রমুগ্ধর মত। তার ভাষায়, ‘আমি শুধু চেয়েই ছিলাম সাকিব ভাইয়ের চেহারার দিকে।’

সাকিব তার বক্তব্য শেষে যখন চলে যাচ্ছিলেন, তখন জুনিয়র ক্রিকেটাররা তার সাথে ছবি ও সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু সাইফউদ্দিনের হাতে কোন মোবাইল ছিল না। তাই সেলফি তোলা হয়নি। সতীর্থ এক ক্রিকেটার ছবি তুলছিলেন, পেছন থেকে সাইফ শুধু গলা উঁচু করে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন সে ছবিতে।