লিটন-সৌম্যের জার্সি নম্বরের পেছনে মজার গল্প
ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের পেছনে যে জার্সি নাম্বার দেখি তা প্রচলন খুব বেশি দিনের না। সাধারণত ফুটবলের জার্সি নাম্বার বুঝিয়ে দেয়, কে কোন পজিশনের খেলোয়ার। ক্রিকেটে হয়ত এমন কিছু বুঝার উপায় নেই কিন্তু হয়তো এই সংখ্যার আড়ালে জড়িয়ে থাকে হাজারও নানা গল্প।
তেমনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের লিটন দাস আর সৌম্য সরকারের জার্সির সংখ্যার পিছনেও রয়েছে এমন বেশ মজার। লিটন প্রথমে ০২ নম্বর জার্সিতে খেলতে চেয়েছিল। আর এই জার্সিটাতে খেলার কারণ বলেছিলেন সম্প্রতি এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে। সেখানে তিনি বলেন, ‘যখন আমি প্রথম ঘরোয়া ক্রিকেট খেলি, আমার জার্সি নম্বর ছিল ০২। এর পেছনে একটা কারণ ছিল। কারণটা হলো, যখন আমি ক্রিকেট বলে প্রথম ম্যাচ খেলি, দুই রান করেছিলাম। তাই আমি এটাকেই জার্সি নম্বর হিসেবে পছন্দ করি।’
তবে ‘০২’ নম্বর জার্সিটা মাশরাফি বিন মর্তুজার সবাই জানে। বিপিএলে খেলতে গিয়েও তাই পছন্দের ‘০২’ নম্বর জার্সি পাওয়া হয়নি লিটনের। দুজনই খেলেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। পছন্দের নম্বরটি না পেয়ে ‘১৯’ নম্বর নিয়ে নেন লিটন। দিনাজপুরে জন্ম নেয়া এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমি তখন মা’কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কোনটা নেব। তিনি আমাকে বলেন, আমার যা পছন্দ। তারপর বিপিএলে আমি ১৯ নম্বর নেই।’
তবে এই ‘১৯’ নিয়ে থাকতে পারেননি লিটন। পরে ভাবলেন, জার্সি নম্বর যেহেতু, সেটা একটা উপলক্ষ্যের সঙ্গে মিলিয়ে রাখলে মনের মতো হবে। লিটনের জন্মদিন ১৬ তারিখ। শেষতক তাই ‘১৬’তেই থিতু হন।
ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘পরে সিদ্ধান্ত নেই, যখন আমার জন্মদিন ১৬ তারিখ, জার্সি নম্বরও ১৬ নেব। সেটাই এখন পর্যন্ত আছে। যতদিন ক্রিকেট খেলব, এটাই থাকবে।’
বাংলাদেশ দলের আরেক হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান জার্সির জন্য পছন্দ করেছিলেন বিকেএসপিতে তার তিন ডিজিটের ক্রেডিট নম্বর ৪৫৯। কিন্তু সেটা বড় হয়ে যায় বলে ‘৪’ বাদ দিয়ে শুধু ‘৫৯’ রাখেন সৌম্য।
বাঁহাতি এই হার্ডহিটিং ব্যাটসম্যান বলেন, ‘বিকেএসপিতে আমার ক্রেডিট নম্বর ছিল ৪৫৯। কিন্তু জার্সিতে তিন ডিজিট রাখা কঠিন। তাই আমি ৪ বাদ দেই। শুধু শেষ দুই ডিজিট রাখি। এজন্যই আমি জার্সি নম্বর ৫৯।’