প্রবল শক্তিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’, সতর্কতা জারি
ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ভারতের দিকে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে আরও একটি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’। দেশটির আবহাওয়া দফতর এ জন্য লাল সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রবল শক্তিশালী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির।
এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী ৬ ঘণ্টার মধ্যে ‘নিসর্গ’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে যাবে উত্তর দিকে। বুধবারের মধ্যে প্রবল গতিতে সে আছড়ে পড়তে পারে ভারতের মহারাষ্ট্র উপকূলে। এরপর উত্তর মহারাষ্ট্র হয়ে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ গুজরাট উপকূল ধরে ওই ঝড় শক্তি হারিয়ে ফেলবে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ইতিমধ্যেই এই প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচতে মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী অঞ্চল ফাঁকা করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। ঘূণিঝড় ‘নিসর্গ’-এর নামকরণ করেছে বাংলাদেশ।
ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মুম্বাই থেকে ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও সুরাট থেকে ৯২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে নিসর্গ। ধীরে ধীরে শক্তি বৃদ্ধি করে সাইক্লোনের রূপ নেবে এই নিম্নচাপ।
শুরুতে আরব সাগর হয়ে উত্তর দিকে বয়ে যাবে ‘নিসর্গ’। তারপর উত্তর পূর্বে বাঁক নিয়ে সেটি উত্তর মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাটের সমুদ্র উপকূলের মাঝখানে হরিহরেশ্বরে আছড়ে পড়বে। এই প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মহারাষ্ট্রসহ গোয়া ও কেরালা, দমন ও লাক্ষাদ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকা।
বুধবার সন্ধ্যায় যখন সমুদ্র উপকূলে আঘাত করবে নিসর্গ, তখন বাতাসের গতিবেগ থাকার সম্ভাবনা সর্বোচ্চ ১১৫ থেকে ১২৫ কিলোমিটার ঘণ্টায়। এর ফলে গোয়া, মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও কেরালায় প্রবল বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
গত ২০ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়ে সুপার সাইক্লোন আম্পান। এর ফলে রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এখনও সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি রাজ্য। তবে নিসর্গের প্রভাব সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে না পড়লেও আবহওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।