যে কারণে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন আশরাফুল
২০১৩ সালে আশরাফুলের বিরুদ্ধে বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রমাণ মেলে। ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি। নন্দিত ক্রিকেটার থেকে পরিণত হন নিন্দিত ক্রিকেটারে। তার জীবনে নেমে আসে আঁধার। হতাশায় ভরে ওঠে আশরাফুলের দিনরাত। তিনি এতটাই ভেঙে পড়েন যে আত্মহত্যার কথাও ঘুরপাক খেতে থাকে তার মনে।
ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ‘নট আউট নোমান’ অনুষ্ঠানে আশরাফুল তাঁর জীবনের এই অজানা গল্প তুলে ধরেন। সেই সময়টা নাকি বর্তমান মহামারির চেয়েও ভয়ংকর ছিল তাঁর কাছে।
আশরাফুল বলেন, ‘একজন আমাকে বলছিলেন, এখন করোনার ভেতরে আমরা সবাই ঘরবন্দী। আপনার কেমন লাগছে? আমি বললাম আমার খুব আহামরি খারাপ লাগছে না। তিনি একটু অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, বলেন কি এমন অস্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে খারাপ আর কি হতে পারে? এতেও আপনার খুব খারাপ লাগছে না? আমি বললাম- ভাইরে, আমি আমার জীবনে করোনার চেয়েও কঠিন সময় কাটিয়েছি।’
‘যখন ম্যাচ গড়াপেটায় অভিযুক্ত হয়ে আমাকে নিষিদ্ধ করা হলো, আমি নিজে ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিং করার কথা স্বীকার করে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলাম, তখনকার অবস্থা ছিল এর চেয়ে খারাপ’-যোগ করেন আশরাফুল।
২০১৮ সালে আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি উঠে যায়। এর আগেই অবশ্য শর্তসাপেক্ষে ঘরোয়া লীগ খেলার অনুমতি পেয়েছিলেন। নিজের কঠিন সময়গুলো কীভাবে কাটিয়ে উঠলেন? আশরাফুল বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমি ২০১৩ সালে হজ্জ করতে গেলাম। এরপর আমার দুলাভাইয়ের সঙ্গে শেয়ার করলাম। উনি কিছু পজিটিভ কথা বলেছিলেন। ক্রিকেট বোর্ডের সিইও সুজন ভাই (বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন), উনারা আমাকে প্রচুর সাপোর্ট করেছেন। বলতেন, তোমার এখন বাজে সময় যাচ্ছে। সময়ই তোমাকে সব চেঞ্জ করে দেবে।’