অনলাইন ক্লাসের পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত মিয়ানমারের শিক্ষার্থীরা
করেনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে বিভক্তি দেখা গেছে মিয়ানমারের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলির ছাত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত জরিপে এ বিভক্তি দেখা গেছে।
মিয়ানমারের স্কুলের বছর সাধারণত জুনে শুরু হয়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে হুমকি এবং জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে স্কুলের ক্লাসগুলি নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারে কিনা তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।
অল বার্মা ফেডারেশন অফ স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কো এইচু খান থাও বলেছেন, ছাত্র সংসদের জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫০ শতাংশই অনলাইন ব্যবস্থার পক্ষে ছিলেন। তবে প্রায় অর্ধেকই এক বছরের ক্লাস স্থগিত চেয়েছিলেন।
জানা গেছে, দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোর ছাত্র সংসদের উদ্যোগে গত ২৪ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত ফেসবুকে উচ্চশিক্ষার শিক্ষার্থীদের জরিপ পরিচালনা করা হয়।
জরিপের প্রাথমিক ফলাফলের ভিত্তিতে ৫৪ ভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের পক্ষে মত দিয়েছেন এবং ৪৬ ভাগ বলেছে যে তারা অনলাইন ক্লাস চায় না।
অল বার্মা ফেডারেশন অফ স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কো এইচু খান থাও বলেন, যারা অনলাইন ক্লাসের বিরোধিতা করেছিলেন তারা বলেছেন যে তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নেই বা কম্পিউটার নেই।
তিনি বলেন, ‘সমীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি খুঁজে পেয়েছি। প্রযুক্তিগত ত্রুটির বাইরে কোন কোন শিক্ষার্থীর কাছে পর্যাপ্ত ফোনও নেই। তবে ছাত্র সংসদের করা জরিপে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা অন্যান্য সংস্থাগুলোর কেউ জড়িত ছিলেন না।’ [সূত্র: মিয়ানমার টাইমস]