কিম জং উনের হার্টের অপারেশন করার খবর ভুয়া

  © বিবিসি

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের স্বাস্থ্য নিয়ে যেসব গুজব ছড়িয়েছিল তার সবই ভিত্তিহীন এবং তার যে হৃৎপিণ্ডের অপারেশন হয়েছে এমন কোন চিহ্নও দেখা যায়নি– বলছে দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থা।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে সম্প্রতি একটানা ২০ দিন জনসমক্ষে দেখা যায়নি। গত ১৫ এপ্রিল তার পিতামহের জন্মদিনের মত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ছয়দিন পর উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা লোকেরা চালায় এমন একটি ওয়েবসাইটের খবরে দাবি করা হয় যে, কিম জং উনের হৃদযন্ত্রের সমস্যা খারাপ দিকে মোড় নিয়েছে। এর পর কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও খবর বেরোয় যে, তার অবস্থা ‘সংকটজনক’।

কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম এমনও খবর দেয় যে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ২০ দিন পর কিম জং উনকে আবার উত্তর কোরিয়ার মিডিয়ায় একটি সার কারখানা উদ্বোধন করতে দেখা যায় এবং দৃশ্যত: তার কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যা হয়েছে বলেও মনে হয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থার প্রধান সু হুন বুধবার একটি পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বলেন, কিম জং উনের স্বাস্থ্য নিয়ে যেসব গুজব ছড়িয়েছে তা সত্যি হবার কোন চিহ্নই দেখা যাচ্ছে না।

তবে কমিটিকে জানানো হয়, সাধারণত: বছরের এই সময় পর্যন্ত কিম জং উনকে ৫০ বার প্রকাশ্যে দেখা যায়। কিন্তু এ বছর তাকে এ পর্যন্ত মাত্র ১৭ বার প্রকাশ্যে দেখা গেছে।

‘সেটা কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণেও হতে পারে’– বলেছেন কমিটির একজন সদস্য। যদিও সরকারিভাবে উত্তর কোরিয়ায় কোন করোনাভাইরাস রোগী নেই। তবে একজন এমপি কিম বাইয়ুং-কী বলেছেন, উত্তর কোরিয়ায় কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব ঘটেছে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এবং চীনা গুপ্তচর সংস্থার কিছু সূত্রও বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিল যে, কিমের অসুস্থতার খবর সত্য নয়। ২০১৪ সালেও কিম জং আনকে একটানা ৪০ দিনের জন্য প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তার প্রত্যাবর্তনের পর তার হাতে একটা লাঠি দেখা গিয়েছিল।

সে সময় রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় স্বীকার করা হয় যে, তিনি শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তবে তা গেঁটেবাত কিনা তা বলা হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ