দক্ষিণ কোরিয়ায় আর একজনও করোনায় আক্রান্ত নেই
দক্ষিণ কোরিয়ায় যখন করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হয়, তখন এর উৎস বলে যে শিনজিওঞ্জি গির্জার দিকে আঙুল তোলা হয়েছিল, সেই গির্জার প্রতিষ্ঠাতা লি মান হি জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন।
সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানে আর একজনও করোনায় আক্রান্ত নেই। রাজধানী সিউলে বিবিসির সংবাদদাতা লরা বিকস বলছেন, এটা দেশটির জন্য একটা যুগান্তকারী মুহূর্ত।
গত ফেব্রুয়ারিতে মূল চীনা ভূখণ্ডের বাইরে সবচেয়ে গুরুতরভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। এরপর থেকে দেশটি উঠেপড়ে লাগে, এই ভাইরাস দমনে এবং সর্বশক্তি দিয়ে সফলভাবে লড়াই চালায় এর বিরুদ্ধে।
বিকস লিখেছেন, তিনি দেখেছিলেন সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত মানুষের শহর দেইগুতে হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সের লম্বা লাইন। বিধ্বস্ত, ক্লান্ত ডাক্তার ও নার্সরা তাকে বলেছিলেন, সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা তাদের সাধ্যায়ত্ত সব কিছু করতে রাজি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ দক্ষিণ কোরিয়ার হাজার হাজার মানুষ বাইরে বসন্তের রোদ উপভোগ করছে। বুদ্ধের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সেখানে জাতীয় ছুটি। পার্কে ভর্তি মানুষ। লম্বা কয়েকদিনের ছুটিতে দক্ষিণের জেজু দ্বীপে যাবার জন্য বিমানবন্দরে প্রচুর মানুষ।
কয়েক মাস পর দেশটিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কোভিড নাইনটিন ইউরোপ আর আমেরিকায় যেভাবে মৃত্যু ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তাতে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ স্তম্ভিত। তারা বলছে তারা ভাগ্যবান তারা বেঁচে গেছে।
কিন্তু সকলকেই সাবধান করা হচ্ছে দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে। বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
আর বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ত্রিশ লাখের কাছাকাছি। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখ ছাড়িয়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা, যা সংখ্যায় সারা বিশ্বে আক্রান্তের প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৯ হাজার ৭০১টি। আর দেশে মোট মারা গেছেন ১৬৩ জন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট সাত হাজার ১০৩ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।