করোনা রোগীদের ভেন্টিলেটরে রেখে খুন করা হচ্ছে দাবি মার্কিন নার্সের
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের এক নার্স দাবি করেছেন, শহরের হাসপাতালগুলো আক্রান্ত রোগীদের ভেন্টিলেটরে রাখার মাধ্যমে তাদের মেরে ফেলার পন্থা অবলম্বন করেছে। সম্প্রতি ওই নার্সের এমন একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়েছে।
নিউ ইয়র্কের হাসপাতালে কর্মরত ওই নার্স তার এক বন্ধুর মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘এটা যেন একটা হরোর মুভি (ভৌতিক সিনেমা)। রোগের কারণে নয় তাদেরকে যেভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সেজন্যই দেশটিতে অসংখ্য রোগী প্রাণ হারাচ্ছেন।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল ও দ্য সানও এটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই নার্স বলেছেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর রোগীর আত্মীয় ও স্বজনদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন, হাসপাতালে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের রোগীকে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস (ভেন্টিলেটর) নেওয়ার ব্যবস্থা করে না দেওয়া হয়।
ভিডিও বার্তায় ওই নার্সের বান্ধবী জানান, ‘হাসপাতালে নেওয়ার পর রোগীর আত্মীয় ও স্বজনদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন, হাসপাতালে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের রোগীকে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস (ভেন্টিলেটর) নেওয়ার ব্যবস্থা করে না দেওয়া হয়।’ বন্ধুর দেওয়া তথ্যানুযায়ী তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখানে তার হয়ে কথা বলছি। আমি আপনাদেরকে এখন সেটাই বলবো সে আমাকে যা বলেছে। সে চায় হাসপাতালের ভেতরকার বর্তমান এই মর্মান্তিক পরিস্থিতি জনসম্মুখে আসুক। মানুষ হাসপাতালের ভেতরের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানুক।’
তার ভাষায়, ‘মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গরুতর অসুস্থ রোগীদের সেবা দিচ্ছে না। তারা এসব রোগীকে সাহায্য করার পরিবর্তে তাদেরকে মেরে ফেলছে। আর তাতে কেউ ভ্রুক্ষেপও করছে না। তার জীবনে সে এমন করে কোনো রোগীকে অবহেলার স্বীকার হতে দেখেনি।’ ওই নার্স এই পদ্ধতিতে পরিকল্পিত হত্যকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করে আরও জানান, রোগীদেরকে মর্মান্তিকভাবে পচেগলে প্রাণ হারাতে হচ্ছে। মানুষগুলোকে এভানে মেরে ফেলা হচ্ছে কিন্তু কেউ কিছুই মনে করছে না।’
এদিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে- দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ২ হাজার ৪৯৮ জন। মারা গেছেন ৫৭ হাজার ২৬৬ জন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু নিউইয়র্কে। ২২ হাজার ৬৬৮ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৬ জন। এরপরেই আছে নিউজার্সি। সেখানে ১ লাখ ১১ হাজার ১৮৮ জন আক্রান্ত এবং মারা গেছেন ৬ হাজার ৪৪২ জন।