২১ এপ্রিল ২০২০, ১৩:৪৬

ইতিহাসে প্রথমবার ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম শূণ্য ডলারের নিচে

  © ফাইল ফটো

করোনা সংকট শুরুর পর থেকেই সময়টা ভালো যাচ্ছে না তেলের বাজারে। যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম কমে দেশটির ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। সোমবার (২০ এপ্রিল) মার্কিন শেয়ারবাজারে অপরিশোধিত তেল কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমেছে ২০ শতাংশ। ফলে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ১৫ ডলারের নিচে।

তবে ফিউচার মার্কেটে আগামী মে মাসের জন্য করা চুক্তিতে তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ০ ডলারেরও নিচে। দেশটিতে তেলের এতটা দরপতন আর কখনও হয়নি। মূলত করোনাভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে টানা লকডাউনের ফলে চাহিদা কমে যাওয়ায় এই দরপতন দেখা দিয়েছে।

একদিকে আগের তুলনায় মানুষ ভ্রমণ সীমিত করায় তেলের চাহিদা কমে গেছে। অন্যদিকে তেলের মজুতকেন্দ্রগুলো পরিপূর্ণ হয়ে আছে। এ দুইয়ের ফলে বাজারে এমন ভয়াবহ চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।

মঙ্গলবারই শেষ হচ্ছে মে মাসের চুক্তি। ফলে সবার নজর এখন জুনের চুক্তির দিকেই। আর সেখানে কিছুটা সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এতে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ১ দশমিক ৭২ ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ১৫ ডলারে। আর জুনের ডেলিভারিতে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ০.১৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৫ দশমিক ৬১ ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রে পতনের মাত্রা বেশি হলেও কমবেশি বিশ্বজুড়েই চলছে তেলের দরপতন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত সপ্তাহে আলোচনা শুরু হয় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে। গত ১৩ এপ্রিল নানা আলোচনা ও জল্পনার পর ওপেক প্লাস ও তেল উৎপাদক মিত্র দেশগুলো উৎপাদন কমানোর ঐতিহাসিক সমঝোতায় পৌঁছায়। দৈনিক ৯৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে একমত হয় শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রফতানিকারকদের এই জোট। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা।