আশঙ্কাই সত্য, দুই প্রজাতির বাদুড়ের শরীরে মিলল করোনাভাইরাস!
করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির গোটা বিশ্ব। করোনার উৎস জানার চেষ্টা করে চলেছেন বিভিন্ন দেশের গবেষকরা। এরইমধ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এল।
আইসিএমআর-এর গবেষকরা ভারতের চারটি রাজ্যে দুই প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে করোনভাইরাস (সিওভি)-এর উপস্থিতি পেয়েছেন। দেশটির বাংলা সংবাদমাধ্যম জি২৪ঘন্টার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দুই দশক ধরে বাদুড়কে অনেক ভাইরাসের বাহক হিসেবে ধারণা করা হয়। নিপাহ, হেন্দ্র, ইবোলা ছাড়াও অনেক ভাইরাস বাদুড় দ্বারা সংক্রামিত হয়েছে। কয়েক বছর আগে ভারতের কেরালায় নিপাহ ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিল। এর কারণ ছিল টেরোপাস মেডিয়াস বাদুড়।
আর তা থেকেই অনেকে আশঙ্কা করতে শুরু করেন, করোনাভাইরাসের সঙ্গেও বাদুড়ের যোগসূত্র থাকতে পারে। আইসিএমআর-এর রিপোর্ট সেই আশঙ্কাই সত্যি করছে।
গত ১৩ এপ্রিল প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে সংস্থাটির গবেষকরা বলেছেন, ‘বাদুড়ে করোনাভাইরাস রয়েছে কিনা তা জানতে ২০১৮-১৯ সালে সংগৃহীত মেডিয়াস ও রাউসটাস প্রজাতির বাদুড়ের লালারস পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা চালান তাঁরা।
সে পরীক্ষায় বাদুড়ের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। কেরালা, হিমাচল, তামিলনাড়ু ও পুডুচেরি- এই চার জায়গায় বাদুড় পরীক্ষা চালিয়ে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এ রিপোর্ট সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভারতে প্রায় ১১৭ প্রজাতির বাদুড় রয়েছে।
করোনার কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে সারা বিশ্ব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ঘোষণা করেছে, করোনা সোয়াইন ফ্লু’র চেয়েও ১০ গুণ বেশি প্রাণঘাতী। ফলে বিভিন্ন দেশে এ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য গবেষণা চলছে। ইতিমধ্যে ভারতের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন’র ব্যবহারে কিছুটা সাফল্যও এসেছে।