করোনা গবেষণায় উহান ইনস্টিটিউটকে অর্থ দেয় যুক্তরাষ্ট্র, তথ্যফাঁস
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিকে ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। রোববার এ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ হাতে পাওয়ার দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।
শুধু তাই নয় এর সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের একাধিক সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করে বলা হয়ে, উহান ইনস্টিটিউট প্রায় এক হাজার মাইল দূরবর্তী ইউনান প্রদেশ থেকে ধরে আনা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের নিয়ে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করছিল। ইতোমধ্যেই ইউনানের একটি গুহায় বসবাসকারী বাদুড়ের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের জিন পাওয়া গেছে। তবে মানব শরীরে এর সংক্রমণের শুরু উহানের একটি প্রাণীবাজার থেকে হয়েছে বলে জানা গেছে। সেজন্য উহান ইনস্টিটিউট থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি চীনে ভাইরাস নিয়ে গবেষণাকারী সবচেয়ে উন্নত গবেষণাগার। করোনা সংক্রমণের উৎস প্রাণীবাজারটি থেকে এর অবস্থান মাত্র ২০ মাইল দূরে।
ডেইলি মেইলের তথ্য অনুসারে, উহানের গবেষকরা বাদুড়ের শরীর থেকে পাওয়া করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছিলেন। আর এ কাজে ৩৭ লাখ ডলার অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ)। এই প্রতিষ্ঠানটিও বায়োমেডিকেল ও জনস্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা করে থাকে।
তবে এর সঙ্গে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের এনআইএইচ নয়, আরও যুক্ত ছিল ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা, দ্য ইউনিভার্সিটি অব নর্থ টেক্সাস, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এবং ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ ফেডারেশন। তারা গবেষণাগারে করোনাভাইরাস তৈরি করে তা তিনদিন বয়সী একটি শূকরছানার শরীরে প্রবেশ করিয়েছিল বলে জানা গেছে।
এছাড়া অপ্রমাণিত একটি সূত্রের তথ্যমতে ডেইলি মেইলের দাবি, উহান ইনস্টিটিউটের কোনও গবেষকের শরীরে হয়তো করোনাভাইরাসযুক্ত রক্ত ছিটে লেগেছিল। পরে তার মাধ্যমেই স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
উহান ইনস্টিটিউটে দেড় হাজারেরও বেশি প্রাণঘাতী ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা হয়। এরমধ্যে বেশিরভাগই বাদুড় থেকে সংগ্রহ করা। এর থেকে মাত্র তিন মাইল দূরেই আরও একটি গবেষণাগার রয়েছে চীনের- উহান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল। এখানেও বাদুড়ের মতো জীবজন্তু নিয়ে গবেষণা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন দেশ দাবি করছে, এটি চীনের জৈবঅস্ত্র নিয়ে গবেষণার ফল হতে পারে। তবে বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীন সরকার।
সূত্র: ডেইলি মেইল