গণপিটুনির ভয়ে ভারতে ১৫ ঘণ্টা গৃহবন্দি চীনা নাগরিক
ভারতে করোনাভাইরাস আতঙ্কের চোটে গণপিটুনির ভয়ে ১৫ ঘণ্টা গৃহবন্দি হয়ে রইলেন এক চীন থেকে আগত বাসিন্দা। গত বুধবার রাতে এই নিয়ে আতঙ্ক ছড়ালো দিল্লির কাছে উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত গ্রেটার নয়ডায়।
বৃহত্তর নয়ডার গ্রিন প্যারাডাইসো হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দারা জানতে পারেন যে, একজন চীন থেকে আগত ব্যক্তি অসুস্থ ও তিনি কিছুতেই দরজা খুলছেন না। সন্দেহের বশে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের ও পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। কিন্তু কোনও ভাবেই দরজা খুলতে চাননি সেই চীনা ভদ্রলোক। তার ভয় যে, তাকে হয়তো পিটিয়ে মেরে ফেলবে স্থানীয় মানুষ। অনেক করে বোঝানোর পর প্রায় পনেরো ঘণ্টা বাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে দরজা খোলেন তিনি। তাকে তখনই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার করোনাভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু কিছু পাওয়া যায় নি।
জানা যাচ্ছে, গত মাসের দুই তারিখ চীন থেকে ফিরেছেন এই ভদ্রলোক। ২৮ দিনের আইসোলেশনেও ছিলেন তিনি এটা নিশ্চিত করার জন্য যে তার করোনাভাইরাস নেই। পুলিশ জানায়, এই চীনা ব্যক্তি ইংলিশ বা হিন্দি বুঝতে পারে না। শেষে একটি অ্যাপ ব্যবহার করে তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। তার কথা না বুঝতে পেরে স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দেয়, এই কারণে দরজা খুলছিল না সেই ব্যক্তি।
জানা যায়, সামান্য সর্দি-কাশিতে ভুগছিল চীন থেকে আগত এই ব্যক্তি। কিন্তু তাতেই আতঙ্কিত বোধ করেন স্থানীয়রা। ফলে সারা রাত বিভিন্ন সরকারি দফতরে ফোন করেন স্থানীয়রা। এই চীনা নাগরিককে দিল্লি এয়ারপোর্টে করোনার জন্য স্ক্রিনও করা হয়েছিল।