করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সন্তোষজনক নয়: চীন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২০, ০৯:১৫ PM , আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০, ০৯:২৭ PM
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো প্রতিবেশী দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে। করোনা আক্রান্ত ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে এ দেশে মানুষের অবাধ যাতায়াত রয়েছে। এসব কারণে বাংলাদেশও করোনার আক্রমণ-প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে এবং চিহ্নিতকরণে নেয়া পদক্ষেপও যথেষ্ট ও সন্তোষজনক নয়। এটি আশঙ্কাজনক।
বুধবার ঢাকার কেরানীগঞ্জে পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিরা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা বিমানবন্দরে তা যেভাবে যাচাই করা হচ্ছে সেটি অবৈজ্ঞানিক ও ত্রুটিপূর্ণ। শুধু চীন থেকে আসা ব্যক্তিদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। এটি বোকামি। সবাইকেই স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা উচিত। কেননা নতুন করে করোনা আক্রান্তদের ৯৫ শতাংশই চীনের বাইরের দেশগুলোর। ৬০টির মত দেশে এটি ছড়িয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ঝুঁকি বা ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে এখন বড় সভা-সমাবেশ আয়োজন করা থেকে বিরত থাকা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনও কোনো চীনা নাগরিক করোনা আক্রান্ত হয়নি। চীনে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আগে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারিভাবে প্রায় এক হাজার ৭০০ চীনা কর্মী কাজ করতো। এখন কাজ করছে এক হাজার ৩৬৫ জন। অর্থাৎ ৩৩৫ জন চীনে গিয়ে আর ফিরতে পারছে না। এর বাইরে বেসরকারি পর্যায়েও বেশ কিছু নাগরিক ছুটিতে গিয়ে আর ফিরতে পারেনি।’
সাংবাদিক সম্মেলনে আরও জানানো হয়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নিশ্চিতে পদ্ম সেতু ও রেল সংযোগ প্রকল্পগুলোতে কর্মকর্তাদের শারীরিক অবস্থার প্রতিদিনের রিপোর্টিং সিস্টেম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে প্রকল্প অফিসগুলো প্রতিদিন দুইবার পরিষ্কার করা হয়। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বুড়িগঙ্গা নদীর কাছে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহানে শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী তিন হাজার দুইশ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজারের ঘরে ঠেকেছে। চীনের বাইরে ভাইরাসটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৯ জনে মৃত্যু ঘটিয়েছে ইতালিতে।