ইংল্যান্ডের মুদ্রায় বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর ছবি
বাংলাদেশি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু আবিষ্কার করেছিলেন বেতার তরঙ্গ। কিন্তু পেটেন্টের প্রতি অনুরাগী না হওয়ায় টেলিগ্রাফের আবিষ্কারক হিসেবে লিপিবদ্ধ হয় গু’লিয়েলমো মা’র্কোনির নাম। তবে সম্মানটা ঠিকই পাচ্ছেন তিনি।
এবার জগদীশ্চন্দ্র বসুর ছবিযুক্ত মুদ্রা প্রচলন করা হতে পারে ইংল্যান্ডে। দেশটির বাজারে চলতি বছর নতুন ৫০ পাউন্ডের নোট আসছে। তাতে ছাপানো হতে পারে বাংলাদেশি এই বিজ্ঞানীর ছবি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড নোটে ছাপানোর জন্য ১০০ জন বিজ্ঞানীর নাম বাছাই করলে এগিয়ে ছিলেন স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর এক লাখ ৭৫ হাজার মনোনয়ন জমা পড়ে। এরমধ্যে বেছে নেয়া হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার নাম। জগদীশ চন্দ্র বসুর নাম রয়েছে তার মধ্যে। প্রবাস বার্তা নামে একটি বাংলা নিউজ সাইট তার ছবিযুক্ত নোট বাজারে এসেছে বলেও তথ্য দিয়েছে।
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু পলিম্যাথ, বায়োলজিস্ট, বায়োফিজিস্ট, বোটানিস্ট ও অর্কিওলজিস্ট ছিলেন। কৃষি বিজ্ঞানেও তার অনেক অবদান রয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলা প্রেসিডেন্সির (বর্তমানে বাংলাদেশ) মুন্সীগঞ্জে ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা ভগবান চন্দ্র বসু ছিলেন ব্রাহ্ম সমাজের বিশিষ্ট সদস্য। চাকরি করতেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের।ফরিদপুর, ভারতের বর্ধমানসহ কয়েকটি এলাকার সহকারী কমিশনার ছিলেন তিনি। জগদীশ চন্দ্রের শিক্ষাজীবন শুরু হয় বাংলা ভাষায়। তখন নিজের সন্তানকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করতেন করতেন অভিভাবকরা।
তার পিতা ভগবান চন্দ্র বসু বিশ্বা’স করতেন, সর্বপ্রথম চাই নিজের মাতৃভাষাকে ভালোভাবে রপ্ত করা জরুরি। তারপর বিদেশী ভাষা শেখা যাবে। জগদীশ চন্দ্র নিজের করা গবেষণা বা আবিষ্কারের জন্য কোনো পেটেন্ট গ্রহণ করেননি। তবে বর্তমান বিজ্ঞানী সমাজ রেডিও তরঙ্গের ক্ষেত্রে তার অবদান স্বীকার করেন। তাকে আখ্যা দেয়া হয় বেতার যোগাযোগের জনক হিসেবে।
তার আবিষ্কৃত অনেক যন্ত্র আজও ব্যবহার হয়ে আসছে। এরমধ্যে এন্টেনা, পোলারাইজার এবং ওয়েভগাইড উল্লেখযোগ্য। বিবিসি, ইন্ডিয়া টাইমসসহ বেশ কিছু গণমাধ্যম তার ব্রিটিশ মুদ্রায় স্থান পাওয়া নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে।