হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েও যে কারণে সিঙ্গেল রতন টাটা
রতন টাটা। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এমিরেটাস। বয়স এখন ৮২। তবে বিয়ে না করেই জীবন পার করে দিয়েছেন ভারতের অন্যতম সফল এই ব্যবসায়ী। হাজার টাকার মালিক হয়েও তিন কেন বিয়ে করেননি তা জানার আগ্রহ অনেকের। এবার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে রতন টাটা জানান, যৌবনে একজনকে ভালো লেগেছিল। তবে তা পূর্ণতা পায়নি। কেন পূর্ণতা পায়নি তা জানালেন তিনি। ‘হিউম্যানস অব বোম্বে’ নামের একটি ফেসবুক পেজে নিজের বাবা-মায়ের ডিভোর্স নিয়েও কথা বলেন রতন টাটা।
নিজের ভালোবাসার মানুষটির কথা স্মরণ করে রতন টাটা লেখেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রেমে পড়েছিলাম। বিয়ে প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু তখনই অসুস্থ দাদির জন্য সাময়িকভাবে ফিরে আসতে বাধ্য হলাম। ভেবেছিলাম, যাকে ভালোবাসি তিনি ভারতে চলে আসবেন। কিন্তু ১৯৬২ সালে ইন্দো-চীন যুদ্ধ চলায় তার অভিভাবকরা এ দেশে আসার অনুমতি দেননি। তখনই ভেঙে যায় সম্পর্ক।
রতন টাটা লিখেছেন, বেশ হাসিখুশিই ছোটবেলা কেটেছে। বড়ো হতেই দেখতে হলো বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ। তখনকার দিনে বিয়ে বিচ্ছেদের চল ছিল না। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর দাদি আমার দায়িত্ব নেন। মা ফের বিয়ে করার পর স্কুলে বন্ধুদের কাছে কটু কথা শুনতে হতো। কিন্তু দাদি আমাকে মূল্যবোধ ধরে রাখতে শিখিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর লন্ডনে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলাম। বেশ মনে আছে, আমার ও ভাইয়ের মধ্যে মূল্যবোধ গেঁথে দিয়েছিলেন দাদি। সবসময় বলতেন, এটা বলবে না, এটা করবে না, সম্মানটাই বড়। উনি সবসময় আমার পাশে থেকেছেন।
বাবার সঙ্গে নিজের সম্পর্কের বিষয়ে লিখেছেন, ছোটবেলায় ভায়োলিন শিখতে চেয়েছিলাম, বাবা পিয়ানো শিখতে বলেন। আমি স্থপতি হতে চেয়েছিলাম, তবে বাবা চেয়েছিলেন প্রকৌশলী হই। আমি যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে চেয়েছিলাম, উনি জোর করছিলেন ব্রিটেনের কলেজে পড়তে। সেই সময় দাদি না থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেল কলেজে ভর্তি হওয়া হতো না।
তিনি লিখেন, ওই কলেজে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হলেও বিষয় বদলে আর্কিটেকচার নিয়েছিলাম। কলেজের পর লসঅ্যাঞ্জেলেসেই শুরু করলাম চাকরি। দুই বছর সেখানে ছিলাম। নিজের গাড়িও ছিল। চাকরিটা বড় ভালোবাসতাম।